মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় নালিশ করেন কর্নাটকের এক মহিলা। প্রতীকী ছবি।
স্ত্রীর অনুপস্থিতির সুযোগে নাবালিকা সৎমেয়েকে নেশাগ্রস্ত করিয়ে ধর্ষণ করেছিলেন কর্নাটকের এক মধ্যবয়সি। মাস কয়েক পরে ওই নাবালিকার মা জানতে পেরেছিলেন, তাঁর মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা। এর পর মেয়ের অভিযোগে ভিত্তিতে স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। ওই মামলায় দোষীকে মঙ্গলবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল কর্নাটকের এক জেলা ও দায়রা আদালত।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ২০২১ সালে নাবালিকা সৎমেয়ের উপর যৌন অত্যাচারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ৪৯ বছরের গণেশ নায়েক। পকসো আইন (প্রোটেকশন ফর চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস অ্যাক্ট)-এ অনুযায়ী এই মামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছিলেন উদুপির সার্কল ইনস্পেক্টর কেআর গোপীকৃষ্ণ। তাতে তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন, দ্বিতীয় বিয়ের পর গণেশ তাঁর স্ত্রী এবং স্ত্রীর প্রথম পক্ষের নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে থাকতেন। কাজের সূত্রে স্ত্রী অন্য শহরে থাকাকালীন ২০২১ সালের অক্টোবরে নাবালিকা সৎমেয়ের উপর যৌন অত্যাচার করেন তিনি। ওই নাবালিকাকে সুরামেশানো শরবত দিয়ে নেশাগ্রস্ত করিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন। মাস তিনেক পরে অন্য শহর থেকে বাড়ি ফেরেন নাবালিকার মা। সে সময় তিনি জানতে পারেন, মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা। এর পর সৎবাবার অত্যাচারের কথা মাকে জানায় মেয়েটি।
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে গণেশের বিরুদ্ধে কুন্দাপুর থানায় নালিশ করেন ওই মহিলা। পকসো আইনে এই মামলার শুনানিতে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে।
মঙ্গলবার গণেশকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজার পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন উদুপির জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক শ্রীনিবাস সুবর্ণ। অনাদায়ে আরও ১ বছরের জেল হবে তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy