শ্রীগৌরীতে এটিএম চুরির ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে দু’টি গাড়ি।
পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় ধৃতরা এটিএম চুরির বিরবণ দিয়েছে। ১৪ এপ্রিল করিমগঞ্জের এংলাবাজারে আব্দুল কায়ূমের বাড়িতে দেখা করেছিল তারা। কায়ূম ছাড়াও সেখানে ছিল মুকিত নামে এক দুষ্কৃতী। গ্যাস-কাটার যন্ত্র দিয়ে এটিএম কেটে ৭ জন মিলে সেটি গাড়িতে তোলে। জামালউদ্দিন নামে দুষ্কৃতীর দায়িত্ব ছিল জাতীয় সড়কের উপর নজর রাখা। পুলিশের গতিবিধি দেখে অন্যদের তা জানানোর কাজ ছিল তার। গত কাল বদরপুর পুলিশ প্রথমে জামালকে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্যদের নাম জানা যায়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে ১০ জন যুক্ত ছিল। আপাতত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম— কায়ূমউদ্দিন), নাজিমউদ্দিন, আইনুল হক, তাজউদ্দিন ও জামাল। গত রাতে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নবীন সিংহ, বদরপুর থানার ওসি ঈশ্বর সিংহ এবং দুই সাব-ইন্সপেক্টর কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে অভিযান চালিয়েছিলেন।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বিধানসভা নির্বাচনের সময় বসলা এলাকায় এআইইউডিএফ নির্বাচনী অফিসে যারা হামলা চালিয়েছিল, তাদের এক জন মুজিব আহমেদ চুরির ঘটনার ব্যবহৃত একটি গাড়ির মালিক। মুজিব বর্তমানে করিমগঞ্জ জেলা কারাগারে বন্দি। ধৃতরাও কোনও একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য। করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রদীপরঞ্জন কর বলেন, ‘‘ঘটনার সঙ্গে আরও পাঁচ জন জড়িত ছিল। তাদেরও ধরা হবে।’’
জামিরায় ধৃত উদলা জঙ্গি। ব্যবসায়ী অপহরণ-কাণ্ডে জড়িত এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, মাসখানেক আগে দক্ষিণ হাইলাকান্দির জামিরার ব্যবসায়ী আলিমউদ্দিনকে অপহরণ করেছিল সশস্ত্র উদলা জঙ্গিরা। মুক্তিপণ দিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। গত রাতে জামিরা এলাকা থেকেই ইউডিএলএ (উদলা) জঙ্গিগোষ্ঠীর এক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। রাস্তায় তাকে দেখে চিনতে পেরেছিলেন আলিমউদ্দিন। তিনিই থানায় খবর পাঠান। পুলিশ জানিয়েছে, কর্তনজয় রিয়াং (গুয়েম পা) নামে ওই জঙ্গি পালানোর চেষ্টা করেছিল। এলাকার লোকজন ধাওয়া করে তাকে ধরে ফেলেন। গণপিটুনির পর তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। হাইলাকান্দি পুলিশের ডিএসপি ফয়েজ আহমেদ জানান, ওই জঙ্গি ‘উদলা’-র রাজেশ চর্কি গোষ্ঠীর সদস্য। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজমোহন রায় জানান, ধৃতের কাছ থেকে অনেক তথ্য মিলেছে।