ছোট থেকেই থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত সাত বছরের শিশু। সময়ে সময়ে ‘ব্লাড ট্রান্সফিউশন’ করাতে হয়। তা করতে গিয়েই এইচআইভি-তে আক্রান্ত হয়েছে সে। অভিযোগ, ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকেই নাকি দূষিত রক্ত দেওয়া হয়েছে!
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে ঝাড়খণ্ডে। তদন্তও শুরু হয়েছে। কিন্তু সব প্রশ্নের উত্তর মেলার আগেই জানা গেল, এক নয়, সব মিলিয়ে মোট পাঁচ শিশু এইচআইভি-তে আক্রান্ত হয়েছে। ঘটনাচক্রে, সকলেই থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত এবং সকলকেই প্রশ্নের মুখে পড়া ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকেই রক্ত দেওয়া হয়েছে বলে দাবি।
ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূম জেলার চাইবাসায় প্রথম এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। তার পরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। পাঁচ সদস্যের একটি তদন্তকারী দলও গঠন করা হয়। সমস্ত অভিযোগের তদন্তে শনিবার রাঁচী থেকে ওই দল চাইবাসা সদর হাসপাতালের ওই ব্লাড ব্যাঙ্কে যায়। সেখান থেকে তারা তথ্য সংগ্রহ করে হাসপাতালের যে ওয়ার্ডে শিশুরা ভর্তি থাকে, সেখানেও চিকিৎসক এবং নার্সদের সঙ্গে কথা বলে তারা।
তদন্তকারী দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন ঝাড়খণ্ডের স্বাস্থ্য পরিষেবার ডিরেক্টর দীনেশ কুমার। তিনি বলেন, ‘‘ব্লাড ব্যাঙ্কে কিছু বিচ্যুতি মিলেছে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে, থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্তদের দূষিত রক্তই দেওয়া হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’
জেলা প্রশাসনও তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুশান্ত মাঝি জানান, শীঘ্রই রিপোর্ট জমা দেবে ওই কমিটি। সুশান্ত বলেন, ‘‘শিশুটি মানঝারি থানা এলাকার বাসিন্দা। এক সপ্তাহ আগে ওর শরীরে এইচআইভি ধরা পড়েছে। তবে ব্লাড ব্যাঙ্কের রক্ত থেকেই সে আক্রান্ত হয়েছে কি না, তা এখনই স্পষ্ট নয়। কারণ, এইচআইভি সংক্রমণের আরও নানা কারণ থাকে।’’