Advertisement
E-Paper

প্রহরার পরেও কী ভাবে পটনার হাসপাতালে আইসিইউ-তে ঢুকে খুন? কর্তব্যে গাফিলতির জেরে সাসপেন্ড হলেন পাঁচ পুলিশকর্মী

পুলিশি নিরাপত্তায় পটনার এক হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল প্যারোলে মুক্তি পাওয়া আসামির। সেই সময়েই দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। পুলিশি নিরাপত্তা থাকার পরেও কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৫ ১৮:১৫
(বাঁ দিকে) পটনার হাসপাতালে দুষ্কৃতীদের হামলা এবং বাইকে চেপে পালানোর মুহূর্ত (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) পটনার হাসপাতালে দুষ্কৃতীদের হামলা এবং বাইকে চেপে পালানোর মুহূর্ত (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

হাসপাতালের আইসিইউ-তে খুনের ঘটনায় নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করা হল বিহারের পাঁচ পুলিশকর্মীকে। পুলিশি প্রহরা থাকা সত্ত্বেও দুষ্কৃতীরা হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে গুলি চালায়। ওই ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ওই পাঁচ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। নিলম্বিত পুলিশকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন পটনার শাস্ত্রীনগর থানার এক সাব ইনস্পেক্টর, দু’জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর এবং দু’জন কনস্টেবল।

গত বৃহস্পতিবার পটনার এক হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ করে আইসিইউতে ভর্তি থাকা রোগীকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। যাঁকে খুন করা হয়েছে, তিনিও দুষ্কৃতী। বিহারের বক্সারের বাসিন্দা নিহত চন্দন মিশ্রের বিরুদ্ধে ১২টি খুনের মামলা-সহ ২৪টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্তও হন চন্দন। সম্প্রতি প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি। পুলিশি নিরাপত্তায় পটনার এক হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। সেই সময়েই দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। পুলিশি নিরাপত্তা থাকার পরেও কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল।

এরই মধ্যে হাসপাতালে গুলি চলার ঘটনায় পাঁচ পুলিশকর্মীকে নিলম্বিত করল পটনা পুলিশ। একটি বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনা কী ভাবে ঘটল, তা নিয়ে পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকেরা অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান চালান। তাতে এই পাঁচ পুলিশকর্মীর কর্তব্যে গাফিলতি ধরা পড়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে পটনা (সেন্ট্রাল)-এর পুলিশ সুপার দীক্ষা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার একটি রি হাসপাতালের ভিতরে আসামিকে খুনের ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির জন্য তাঁদের (পাঁচ পুলিশকর্মীকে) নিলম্বিত করা হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই শাস্ত্রীনগর থানায় কর্মরত ছিলেন।”

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় একদল দুষ্কৃতী হাসপাতালে প্রবেশ করে ঢোকে। তার পর চন্দনকে গুলি করে খুন করার পর হাসপাতাল ছাড়ে। দুষ্কৃতীরা সংখ্যায় ছ’জন ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। পরে তদন্ত চলাকালীন সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, দুষ্কৃতীদের মধ্যে পাঁচ জন হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ করেছিল, এক জন হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করছিল। ঘটনার পরেই মূল অভিযুক্ত তৌসিফ রাজাকে গ্রেফতার করে পটনা পুলিশ। পিটিআই সূত্রে খবর, শনিবার ভোরে এক যৌথ অভিযানে কলকাতার নিউ টাউন থেকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত আরও পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের মধ্যে চার জন সরাসরি খুনের ঘটনায় যুক্ত ছিল বলে সন্দেহ পুলিশের।

Bihar patna Crime
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy