পুলিশের দাবি, রাতে ফুটপাথ থেকে ঘুমন্ত নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত।
বছর পাঁচেকের মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ফুটপাতেই ঘুমোচ্ছিলেন মা-বাবা। কিন্তু ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে মেয়েকে আর পাশে শুয়ে থাকতে দেখেননি তাঁরা। আশপাশে খোঁজাখুঁজি করেও দেখা মেলেনি তার। এর পর থানায় অভিযোগ করেন ওই মেয়েটির মা-বাবা। ঘণ্টা দু’য়েকের মধ্যেই ফুটপাথের অদূরে বালিকার নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের পর জানা যায়, যৌন অত্যাচার চালিয়ে খুন করা হয়েছে তাকে। ঘটনায় অভিযুক্ত এক যুবককে শুক্রবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মধ্য মুম্বইয়ের মাহিম থানা এলাকায় এল জে রোডের এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে ফুটপাতবাসীদের নিরাপত্তা নিয়ে।
মাহিম থানার এক অফিসার জানিয়েছেন, অভিযুক্তের নাম মেহেন্দি হাসান মহম্মদ। এল জে রোডের ফুটপাতের উপর স্ত্রী এবং তিন মেয়েকে নিয়ে থাকত বছর তেইশের ওই যুবক। পুলিশের দাবি, বৃহস্পতিবার রাত ২টো নাগাদ ফুটপাথ থেকে ওই ঘুমন্ত নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যায় সে। এর পর একটি নির্জন রাস্তায় নিয়ে গিয়ে সেখানেই তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার ভয়েই ওই নাবালিকার শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করে সে। এর পর তার দেহটি রাস্তাতেই ফেলে রেখে ফিরে আসে নিজের ঘুমন্ত পরিবারের পাশে।
মধ্য মুম্বইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রবীন্দ্র শিসবে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ওই নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগ করে তার পরিবার। এর ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে ওই এলাকা থেকেই নাবালিকার নগ্ন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রবীন্দ্র শিসবে বলেন, “যে জায়গায় ওই মেয়েটি ঘুমিয়েছিল তার একশো মিটারের মধ্যে তার দেহ উদ্ধার হয়। সে সময় তার গায়ে কোনও পোশাক ছিল না।” তিনি আরও জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তে জানা যায়, শ্বাসরোধ করে খুনের আগে ওই নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। এর পর পুলিশের আটটি দল গঠন করেন তারা। ঘটনার তদন্তে নেমে ওই এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। তাতে ধরা পড়ে এক জন ফুটপাতবাসী ওই মেয়েটিকে ঘুমন্ত অবস্থায় তুলে নিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাফালে ‘মোদী-যোগ’ ফাঁস সরকারি নোটে
এর পরই ওই এলাকার ফুটপাতবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে মেহেন্দি হাসান। পুলিশের আরও দাবি, মেহেন্দি বিকৃত মস্তিষ্কের। জেরায় মেহেন্দি জানিয়েছে, ওই নাবালিকাকে বার কয়েক নগ্ন অবস্থাতে দেখার পরই তাকে টার্গেট করার কথা ভাবে সে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখেও মেহেন্দিকে চিহ্নিত করা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: গুয়াহাটিতে কালো পতাকা দেখলেন নরেন্দ্র মোদী
আরও পড়ুন: ঠান্ডায় জমে বরফ বিড়াল, প্রাণ ফিরিয়ে নায়ক চিকিত্সক
রবীন্দ্র শিসবে জানিয়েছেন, মেহেন্দি হাসানের বিরুদ্ধে পকসো (প্রোটেকশন অব চিল্ড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস অ্যাক্ট) আইনের ধারায় অপহরণ, খুন এবং ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে।
(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy