এখনও ধরা পড়েনি উত্তরপ্রদেশের হাথরসের সেই অভিযুক্ত অধ্যাপক রজনীশ কুমার। পরীক্ষায় বেশি নম্বর দেওয়া এবং কাজ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে কলেজের ৩০ ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত অধ্যাপককে ধরার জন্য পুলিশের তিনটি দল গঠন করা হয়েছে। কিন্তু অধ্যাপকের এখনও নাগাল পায়নি পুলিশ। কোথায় উধাও হয়ে গেলেন অধ্যাপক, এই প্রশ্নই ঘুরছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অধ্যাপককে না পাওয়া গেলেও তাঁর একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। সেই মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে তাতে ৬৫টি অশ্লীল ভিডিয়ো রয়েছে। সম্প্রতি বেনামে একটি চিঠি পেয়েছিল জাতীয় মহিলা কমিশন। সেখানে অধ্যাপক রজনীশের কুকীর্তির বর্ণনা দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি জানানো হয়। কী ভাবে নিজের জালে ছাত্রীদের ফাঁসিয়ে তাঁদের যৌন হেনস্থা করতেন, সব কিছু উল্লেখ করা হয় ওই চিঠিতে।
আরও পড়ুন:
হাথরসের পিসি বাগলা ডিগ্রি কলেজের ভূগোলের অধ্যাপক রজনীশ। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, চার বছর ধরে কলেজের ছাত্রীদের যৌন হেনস্থা করছেন অধ্যাপক। পরীক্ষায় সাহায্য করা এবং চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করেন। শুধু তা-ই নয়, সেই সব ঘটনার ছবি এবং ভিডিয়ো তুলে ব্ল্যাকমেল করে বার বার যৌন হেনস্থা করেন। যাঁরা এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন, তাঁদের কেরিয়ার নষ্ট করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। এমনকি সমাজমাধ্যমে সেই সব ভিডিয়ো এবং ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হুমকিও দিতেন। অধ্যাপক এতটাই প্রভাবশালী যে, তাঁর বিরুদ্ধে বার বার অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে চিঠিতে।
পুলিশ সূত্রে খবর, তাদের হাতে ওই চিঠি এবং বেশ কিছু প্রমাণ আসার পর অধ্যাপককে তলব করা হয়। গ্রেফতারি এড়াতে পালিয়ে যান অধ্যাপক। তাঁর মোবাইল থেকে ৬৫টি অশ্লীল ভিডিয়ো উদ্ধার হয়েছে, যেগুলির বেশির ভাগই ছাত্রীদের। পুলিশ জানিয়েছে, এই সব ভিডিয়ো এবং ছবি মুছে দিয়েছিলেন অধ্যাপক। তবে ফরেন্সিক দল সেই ভিডিয়ো এবং ছবি উদ্ধার করেছে। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, অনেক ভিডিয়ো পর্ন ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে।