ফাইল চিত্র।
ফের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে। এবারেও প্রাণ হারালেন কপ্টারে থাকা সকলেই। নিহতদের সকলেই বায়ুসেনা ও সেনাবাহিনীর কর্মী। তাওয়াংয়ের পুলিশ সুপার মনোজকুমার মীনা জানান, আজ, শুক্রবার সকালে খিরমু থেকে তাওয়াংয়ের উদ্দেশে যাত্রা করে বায়ুসেনার এমআই-১৭ ভি৫ চপারটি। আবহাওয়া খারাপ ছিল। টাপুগড়ের কাছাকাছি কপ্টারের সঙ্গে এটিসির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ভোর ৬টা নাগাদ জঙ এলাকার কাছে ভেঙে পড়ে হেলিকপ্টারটি। কপ্টারে চালক ও সহকারী চালক ছাড়াও সেনা ও বিমানবাহিনীর পাঁচ কর্তা এবং কর্মী ছিলেন। কেউই বেঁচে নেই বলে সেনাবাহিনী সূত্রে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন, অরুণাচল যেন বিমান আর কপ্টারের মৃত্যুফাঁদ
আরও পড়ুন: ডোকলামে ফের রাস্তা গড়তে শুরু করেছে চিন
এয়ার মেনটেন্যান্স মিশনে বেরোনো ওই হেলিকপ্টারে রেশন ও কেরোসিন আনা হচ্ছিল। ঘটনাটি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। মিসামারি থেকে যাওয়া কপ্টারটির বিভিন্ন সেনা ঘাঁটিতে কেরোসিন পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। সেনাসূত্রে জানানো হয়, টাপুগড়ের কাছে কেরোসিনের জেরিক্যান বেঁধে রাখা অংশটি কোনও ভাবে খুলে গেলে একটি কেরোসিনের জেরিক্যান কপ্টারের লেজের দিকের রোটারে গিয়ে লাগে। তা থেকেই দুর্ঘটনা। কপ্টারের ভিতরে জেরিক্যান ভর্তি থাকায় দুর্ঘটনায় কপ্টার ও তার ভিতরে থাকা সকলের দেহ পুরোপুরি ভষ্মীভূত হয়ে গিয়েছে। অবশ্য সরকারি ভাবে দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানানো হয়নি।
কপ্টারটি ব্যারাকপুরের ১৫৭ হেলিকপ্টার ইউনিট থেকে এসেছিল। পাইলট ছিলেন উইং কম্যান্ডার বিক্রম উপাধ্যায়। সহকারী চালক স্কোয়াড্রন লিডার এস তিওয়ারি। এ ছাড়া ছিলেন মাস্টার ওয়ার্যান্ট অফিসার এ কে সিংহ, সার্জেন্ট গৌতম ও সার্জেন্ট সতীশ কুমার। সেনাবাহিনীর দুই সিপাই হলেন ই বালাজি ও এইচ এন ডেকা।
দুপুরে দেহ উদ্ধারের পর তেজপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সাত জনের দেহ পাঠানো হচ্ছে তাঁদের পরিবারের কাছে। দুর্ঘটনায় মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আগামী সোমবার, ৯ অক্টোবর, বায়ুসেনা দিবসের অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বায়ুসেনার ইস্টার্ন কমান্ড।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy