Advertisement
E-Paper

জমি নিয়ে অশান্তি, দাদাকে খুনের ৪০ বছর পর শাস্তি পেলেন বছর আশির বৃদ্ধ

জয়পালের বিরুদ্ধে রঘুনাথের স্ত্রী চন্দ্রমুখী খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই মামলা আদালতের দরজা পর্যন্তও পৌঁছয়। কিন্তু কয়েক মাস পর জামিনে ছাড়া পেয়ে গিয়েছিলেন জয়পাল।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:০৬

প্রতীকী ছবি।

দুই ছেলের মধ্যে পৈতৃক জমি ভাগাভাগি করে দিয়েছিলেন বাবা। তবুও সেই জমি ঘিরে অশান্তি। দাদাকে জমির যে অংশ দেওয়া হয়েছে, তা-ই চাই ভাইয়ের। এই প্রস্তাবে দাদা রঘুনাথ সিংহ রাজি না হওয়ায় রাগের বশে দাদা রঘুনাথ সিংহকে লাঠি দিয়ে মেরেছিলেন ভাই জয়পাল সিংহ। গুরুতর আহত অবস্থায় রঘুনাথকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন সেখানকার চিকিৎসকেরা। কিন্তু এই ঘটনা প্রায় চল্লিশ বছর আগেকার। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে এই ঘটনাটি ঘটেছিল।

১৯৮৩ সালে জয়পালের বিরুদ্ধে রঘুনাথের স্ত্রী চন্দ্রমুখী খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই মামলা আদালতের দরজা পর্যন্তও পৌঁছয়। কিন্তু কয়েক মাস পর জামিনে ছাড়া পেয়ে গিয়েছিলেন জয়পাল। ১৯৮৪ সালে এলাহাবাদ হাই কোর্টের তরফে এই মামলার উপর স্থগিতাদেশও জারি করা হয়।

চার দশক পর সেই মামলার রায় ঘোষণা করে আদালত। ৮০ বছরের বৃদ্ধ জয়পালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ৭৫ বছর বয়সি চন্দ্রমুখী চলতি বছরের জুন মাসে স্বামীর খুনের ন্যায়বিচারের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হন এবং দ্রুত শুনানির আর্জি জানান।

মঙ্গলবার আদালতের তরফে জানানো হয়, এই মামলায় মোট ১৭ জন সাক্ষী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ মারা গিয়েছেন কেউ আবার হাজিরার দিন অনুপস্থিত ছিলেন। পাঁচ জন সাক্ষী এবং অন্যান্য প্রমাণের উপর ভিত্তি করে জয়পালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।

Uttar Pradesh agra Allahabad court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy