E-Paper

দেরির শাস্তি, একশো বার কান ধরে ওঠবস করে মৃত্যু ছাত্রীর

ছাত্রীর পরিবার সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে সে পিঠে ব্যথার কথা জানায়। ধীরে ধীরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে তাকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৫ ০৭:২৫

—প্রতীকী চিত্র।

স্কুলে দেরি করে ঢোকার শাস্তি হিসেবে ছ’জন পড়ুয়াকে একশো বার কান ধরে ওঠবস করার নির্দেশ দিয়েছিলেন এক শিক্ষক। সেই ঘটনার পরে তাদের মধ্যেই এক পড়ুয়া প্রায় এক সপ্তাহ ধরে পিঠে ব্যথার সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিল। শুক্রবার রাতে মৃত্যু হয় ১২ বছরের ওই কিশোরীর। মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার ঘটনা। পরিবারের দাবি, শাস্তি দেওয়ার নামে শিশুদের উপরে এই নির্যাতনের জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই নাবালিকার।

ছাত্রীর পরিবার সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে সে পিঠে ব্যথার কথা জানায়। ধীরে ধীরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে তাকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। শুক্রবার রাতে তার মৃত্যু হয়। নাবালিকার মায়ের দাবি, স্কুলের ভারী ব্যাগ নিয়ে মেয়েকে কান ধরে ওঠবস করতে বাধ্য করেন শিক্ষক।

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরে স্কুলের অন্য পড়ুয়াদের অভিভাবক এবং স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট শিক্ষক এবং স্কুলের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন। ঘটনাটি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস)-র এক নেতা সচিন মোর বলেন, “শিশুটি আগে থেকেই অসুস্থ ছিল। আর তা জানা সত্ত্বেও তাকে একশো বার কান ধরে ওঠবস করানো হয়।” অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের না হওয়া পর্যন্ত স্কুল খোলা যাবে না বলে দাবি তুলেছেন এমএনএস সদস্যরা।

ভাসাইয়ের ওই বেসরকারি স্কুলের আর এক শিক্ষক বলেন, “সত্যিই জানা নেই ওই ছাত্রী কত বার ওঠবস করেছিল বা এই ওঠবসের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে কি না।”

শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Death Student Death Maharashtra police investigation

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy