প্রতীকী ছবি।
অন্ধ্রপ্রদেশেও এ বার নির্ভয়া কাণ্ডের ছায়া। পুরুষ বন্ধুকে বেঁধে রেখে তাঁর সামনেই গণধর্ষণ করা হল ২১ বছরের এক তরুণীকে। নির্যাতিতার নগ্ন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তিন অভিযুক্তের মধ্যে এক জন ওই তরুণীকে ব্ল্যাকমেল করছিল বলেও অভিযোগ। রাজ্যের পূর্ব গোদাবরী জেলার ওই ঘটনায় অভিযুক্তরা এখনও ফেরার। তবে খুব তাড়াতাড়ি তাদের নাগাল পেতে বিশেষ তদন্তকারী দল গড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অমলাপুরমের ডিএসপি ওয়াই এম রেড্ডি।
ঘটনাটি সপ্তাহ দুয়েক আগের বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে কোমারাগিরিপটনাম কাদাদারির কাছে একটি সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। অভিযোগ, সেখানে তাঁদের ঘিরে ধরে ওই তিন অভিযুক্ত। তরুণীটিকে তাঁদের সঙ্গে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। তরুণী এবং তাঁর বন্ধু প্রতিবাদ জানালে দু’জনের উপরেই চড়াও হয় অভিযুক্তরা। ব্যাপক মারধর করা হয়। এর পর তরুণীর বন্ধুকে বেঁধে ফেলে তাঁর চোখের সামনেই তরুণীটিকে গণধর্ষণ করে ওই তিন জন। নগ্ন অবস্থায় তরুণীটির একাধিক ছবি ক্যামেরাবন্দি করে রাখে অভিযুক্তরা।
‘সামাজিক কলঙ্ক’ এড়াতে এত দিন বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি ওই তরুণী। তবে সম্প্রতি তিন অভিযুক্তের মধ্যে কোনও এক জন তরুণীর ফোন নম্বর জোগাড় করে তাঁকে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে বলে অভিযোগ। যা না-মানলে সে দিনের তোলা আপত্তিজনক ছবিগুলি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে সে। এই হেনস্থা সহ্য করতে না-পেরে শেষমেশ পরিবারের কাছে ঘটনার কথা খুলে বলেন ওই তরুণী। যার পর সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের দ্বারস্থ হয় তাঁর পরিবার।
তদন্তে নেমে ওই তিন অজ্ঞাত পরিচয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই তাদের ধরতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠিত হয়েছে। পাশাপাশি নির্যাতিতাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্যও পাঠানো হয়। খুব তাড়াতাড়ি অভিযুক্তরা পুলিশের জালে ধরা পড়বে বলে তিনি আশাবাদী, এমনটাই জানিয়েছেন অমলাপুরমের ডিএসপি ওয়াই মাধব রেড্ডি।
অন্য দিকে, মঙ্গলবার রাতে দশ বছরের একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে বছর চল্লিশের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে ঝাড়খণ্ড পুলিশ। ঘটনাটি রাজ্যের পূর্ব সিংহভূম জেলার জগন্নাথপুর গ্রামের। পুলিশ সূত্রের খবর, একটি বাড়ির পিছনে টেনে নিয়ে গিয়ে ওই বালিকার উপর অত্যাচার চালায় অভিযুক্ত। ধর্ষণের পর শিশুটিকে গলা টিপে খুন করে সে। ঘটনার সময় অভিযুক্ত মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy