বিয়ের তিন মাসের মধ্যে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল এক গৃহবধূর। পুলিশ জানায়, তাঁর নাম সুলতানা বেগম। করিমগঞ্জের পাথু গ্রামের সুলতানা সঙ্গে মাসতিনেক আগে বিয়ে হয়েছিল পাথারকান্দির সামসুদ্দিনের। কয়েক দিন আগে সুলতানা তাঁর মাকে শ্বশুরবাড়িতে আসতে বলেছিলেন। গত কালও বাপের বাড়িতে ফোন করে একই কথা বলেন তিনি। সুলতানার পরিজনরা পুলিশকে জানান, গত কাল বিকেলেই সুলতানার শরীর খারাপ হয়েছে বলে ফোনে জানানো হয়। কিছু ক্ষণ পর বলা হয়— তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ওই তরুণীর পরিজনদের অভিযোগ, ফোনে সুলতানার শ্বশুরবাড়ির লোকদের কথাবার্তায় ধোঁয়াশা ছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় রহস্য জনক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়।
সুলতানার বাপের বাড়ির লোকদের অভিযোগ, পণের জন্য তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। পরে দেহটি দড়িতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। মৃত তরুণীর ভাইয়ের অভিযোগ, সামসুদ্দিন বিয়ের পর থেকেই তাঁর বোনের কাছে টাকা চাইছিল। কিন্তু ওই টাকা তাঁরা দিতে পারেননি। তাই মাঝেমধ্যেই সুলতানার উপর অত্যাচার চলত। পুলিশ জানায়, আজ করিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে মৃতদেহের ময়না তদন্ত করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।
অন্য দিকে, গলা টিপে খুন করা হল আড়াই বছরের এক শিশুকন্যাকে। ঘটনাটি করিমগঞ্জের। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের কারণ এখনও অস্পষ্ট। পুলিশ জানায়, করিমগঞ্জ শহরের ব্রজেন্দ্র রোডে আড়াই বছরের মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতে থাকেন অঞ্জলি রায়। স্বামী সুবল বিশ্বাসের সঙ্গে কার্যত সম্পর্ক ছেদ হয়েছে তাঁর। আগেও একটি খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অঞ্জলিকে মাসদু’য়েক জেল হেফাজতে থাকতে হয়েছিল। শিশুকন্যার খুনের পিছনেও তাই ওই মহিলার হাত রয়েছে বলে অনেকের আশঙ্কা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গত কাল সামন্তী মামাবাড়ির কাছে নদীর তীরে গিয়েছিল। সেখান থেকে ফেরার পর সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অঞ্জলি তদন্তকারীদের সামনে দাবি করেছে, অজানা কোনও ‘শক্তি’ তার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy