বেশ কয়েক দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন মহারাষ্ট্রের ভিওয়ানি শহরের বাসিন্দা, মুসকান মহম্মদ তাহা আনসারি নামে এক গৃহবধূ। ওই তরুণীর মায়ের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্ত চলাকালীন অবশ্য ভিওয়ানির একটি কসাইখানার কাছে উদ্ধার হয় এক তরুণীর মাথা। জানা যায়, দেহাংশটি মুসকানেরই। এর পরেই আটক করা হয়েছে তরুণীর স্বামী তাহা আনসারিকে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, মুসকানকে খুন করে তাঁর দেহের ১৭টি টুকরো করেছে সে! দেহাংশগুলি ফেলে এসেছে ভিওয়ানি শহরের নানা প্রান্তে। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মুসকানের মা হানিফা খান মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন গত ৩০ অগস্ট। সেই সময়ে হানিফা জানান, ২৮ অগস্ট থেকে মুসকানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না তিনি। হানিফার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে যখন কসাইখানার কাছে একটি কাটা মাথা উদ্ধার করে পুলিশ, তখন সেটির ছবি দেখানো হয় হানিফাকে। দেহাংশ দেখে হানিফা মুসকানকে চিহ্নিত করলে তরুণীর স্বামীর খোঁজ শুরু করে পুলিশ। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে দু’টি সিট-ও গঠন করা হয়। এই সময়ে তাহাকে আটক করে চাপ দিতেই ওই যুবক স্বীকার করে নেয়, মুসকানকে সে খুন করেছে। এ-ও জানায়, রাগের মাথায় মুসকানের দেহের সতেরোটি টুকরো করেছিল সে। দেহাংশগুলি শহরের নানা প্রান্তে ফেলে দিয়ে আসার কথাও জানায় তাহা। তবে কেন আচমকা এমন ভাবে মুসকানকে খুন করল সে, তা নিয়ে কিছু বলেনি তাহা।
মুসকান-খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের খোঁজ চলছে। তরুণীর বাকি দেখাংশের খোঁজও চালাচ্ছে তদন্তকারী দলগুলি। তল্লাশিতে ব্যবহার করা হচ্ছেড্রোন, দমকল।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)