পহেলগাঁও কাণ্ডের তদন্তে বিভিন্ন স্থানীয় ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। সেই তালিকায় আছেন অনেক দোকানিও। এমনই এক দোকানি এ বার এনআইএ-র আতশকাচের তলায়। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই দোকানি পহেলগাঁও কাণ্ডের ১৫ দিন আগে দোকান খুলেছিলেন। কিন্তু ঘটনার দিন তাঁর দোকানের ঝাঁপ বন্ধ ছিল। কেন দোকান খোলেননি, তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে তদন্তকারীদের মনে। সেই কারণেই ওই দোকানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেই খবর।
পহেলগাঁও হত্যালীলার তদন্তে তৎপর এনআইএ। দিন কয়েকের মধ্যেই তারা তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্টও জমা করবে। তদন্তের স্বার্থে ইতিমধ্যেই অনেকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। এখনও পর্যন্ত ১০০ জন স্থানীয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তাঁরা। সেই জিজ্ঞাসাবাদের সময়ই তদন্তকারীরা ওই দোকানির সম্পর্কে জানতে পারেন, যিনি ঘটনার দিন দোকান বন্ধ রেখেছিলেন! একটি সূত্রের দাবি, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং এনআইএ ওই দোকানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। শুধু তা-ই নয়, সেই ব্যক্তির সম্পর্কে জানতে বিভিন্ন সূত্র থেকে খোঁজখবর চালানো হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সংস্থার সূত্রগুলি থেকে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ২২ এপ্রিল ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয়দের একটি তালিকা তৈরি করেছে। সেই তালিকা ধরেই জিজ্ঞাসাবাদপর্ব চলছে। তাঁদের মধ্যে কেউ দোকানদার, কেউ আবার টাট্টু ঘোড়ায় পর্যটদের ঘোরান, আবার কেউ ফোটোগ্রাফার। ঘটনার সময় প্রায় সকলেই বৈসরন উপত্যকায় উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি যাঁরা সেই দিন দোকান খোলেননি তাঁরা রয়েছেন তদন্তকারীদের নজরে।
আরও পড়ুন:
এ ছাড়াও পহেলগাঁও কাণ্ডে জম্মুর জেলে বন্দি দুই জঙ্গিকে জেরা করছে এনআইএ। তদন্তকারীদের সন্দেহ, পহেলগাঁওয়ে হামলার নেপথ্যে এই দুই জঙ্গিরও যোগ থাকতে পারে। পাশাপাশি, প্রত্যক্ষদর্শীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। তবে ঘটনার প্রায় ১০ দিন কেটে গিয়েছে, এখনও কোনও জঙ্গি ধরা পড়েনি। তাদের সন্ধানে বিভিন্ন দিকে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বিভিন্ন তদন্তাকারী সংস্থা এবং পুলিশ। সন্দেহভাজনদের ছবিও পাঠানো হয়েছে প্রায় সর্বত্র।