দিল্লিতে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার বিকেলে বৈঠকটি হয় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন, ৭, লোককল্যাণ মার্গে। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর এই প্রথম বৈঠক হল মোদী এবং ওমরের। বৈঠকে দু’জনের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে, আনুষ্ঠানিক ভাবে তা জানানো হয়নি। তবে সরকারি সূত্রে খবর, জম্মু ও কাশ্মীরে পহেলগাঁও পরবর্তী নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
পহেলগাঁও কাণ্ডের পর টানা ন’দিন ধরে জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। বিনা প্ররোচনায় গুলি চালাচ্ছে ভারতীয় সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে। পাল্টা জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনাও। ওই সূত্রের দাবি, মোদী-ওমর বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়। কোন উপায়ে প্রত্যাঘাত করা হবে, আলোচনায় তা-ও উঠে আসে। তা ছাড়া কাশ্মীরে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়েও দু’জনের মধ্যে কথা হয়।
সম্প্রতি পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের নিন্দায় জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় এক দিনের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল। সে দিন বিধানসভায় বক্তৃতার সময়ে পর্যটকদের নিরাপদে বাড়ি ফেরাতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন ওমর। বলেন, “আমি জানি না মৃতদের পরিবারের কাছে কী ভাবে ক্ষমা চাইব। আয়োজক হিসাবে পর্যটকদের নিরাপদে বাড়ি ফেরানো আমার কর্তব্য ছিল। কিন্তু আমি পারিনি। ক্ষমা চাওয়ার কোনও ভাষা আমার কাছে নেই।”
গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গিদের গুলিতে ২৫ পর্যটক-সহ ২৬ জনের মৃত্যু হয়। গত বছর কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা ভোটে জয়ী হয় ওমরের দল ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) এবং কংগ্রেসের জোট। ভোটের সময় ওমরদের অন্যতম দাবি ছিল, পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা। ভোটের পরে ক্ষমতায় আসার পরবর্তী সময়েও এই নিয়ে বিভিন্ন সময়ে মন্তব্য করেছেন ওমর। তবে পহেলগাঁও কাণ্ডের নিন্দায় বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে ওমর জানান, ২৬ জনের লাশের উপর দাঁড়িয়ে তাঁরা পূর্ণ রাজ্যের দাবি তুলবেন না।