ফোনে কথা বলতে মগ্ন! খেয়ালই নেই সামনে কী রয়েছে। আচমকাই এক গভীর কুয়োয় পড়ে যান যুবক। ২৪ ঘণ্টা ধরে খোঁজাখুঁজির পর ওই কুয়ো থেকে তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি বছর বাইশের ছাত্রকে।
শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের হাথরসের বাসিন্দা ওই যুবক ১২০ ফুট গভীর কুয়োর মধ্যে পড়ে যান। ফোনে কথা বলতে বলতে তিনি বুঝতেই পারেননি কখন কুয়োর ধারে চলে এসেছেন। আচমকা পা ফস্কে কুয়োর মধ্যে পড়েন। স্থানীয়েরা এসে প্রথমে তাঁকে কুয়ো থেকে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু না পারায় খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকল এবং উদ্ধারকারী দলও।
২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কুয়োর মধ্যে তল্লাশি চালিয়ে ওই যুবককে খুঁজে পান উদ্ধারকারী দলের সদস্যেরা। তাঁকে ওই অবস্থা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় কুয়োর বাইরে। তখন তাঁর জ্ঞান ছিল না। নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসকেরা ওই যুবককে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন:
হাথরসের এসএইচও যোগেশকুমার সিংহ জানান, ওই যুবক ফোনে ট্র্যাক্টর নিয়ে এক আত্মীয়ের সঙ্গে কথা বলছিলেন। তখন রাত প্রায় ১১টা। চারপাশ অন্ধকার ছিল। কুয়োর মুখটি ঝোপঝাড় দিয়ে ঢাকা ছিল। ফলে নজরে পড়েনি যুবকের। মৃত যুবকের নাম রাহুল কুমার। স্থানীয়দের কথায়, ‘‘রাহুল খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল। পড়াশোনার পাশপাশি, চাষবাসও করত। তাদের পরিবার আলু চাষ করত। সেই আলু খেত থেকে আনার জন্য একটি ট্র্যাক্টরের ব্যবস্থা করেছিলেন রাহুলের বাবা। কিন্তু হঠাৎ সেই ট্যাক্টর খারাপ হয়ে যাওয়ায় চিন্তায় পড়েন তিনি। তখন রাহুলই তাঁর কাকার সঙ্গে ওই ট্যাক্টরের বিষয়ে কথা বলছিলেন। সেই সময়েই ঘটে যায় এ-হেন বিপদ।’’