কুয়েতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল এক প্রবাসী ভারতীয়কে। গত ২৮ এপ্রিল তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। মুস্তাকিম ভাতিয়ারা নামে ৩৮ বছর বয়সি ওই ব্যক্তির বাড়ি গুজরাতের অহমদাবাদে। কুয়েতে ২০১৯ সালে একটি খুনের মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন তিনি। ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাঁর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছিল কুয়েতের আদালতে। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর তাঁর দেহ ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে। গত বুধবার অহমদাবাদে মুস্তাকিমের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
প্রায় এক দশক ধরে পশ্চিম এশিয়ায় বিভিন্ন দেশে রাঁধুনির কাজ করেছেন তিনি। প্রথমে দুবাইয়ে কাজ করতেন তিনি। পরে কিছু দিন বাহরিনে কাজ করেন। সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস্ অফ ইন্ডিয়া’র প্রতিবেদন অনুসারে, গত সাত বছর ধরে কুয়েতে কর্মরত ছিলেন তিনি। যিনি তাঁকে কাজে নিয়োগ করেছিলেন, ওই নিয়োগকর্তাকেই ২০১৯ সালে খুনের অভিযোগ ওঠে মুস্তাকিমের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন:
ওই নিয়োগকর্তার সঙ্গে কোনও একটি বিষয়ে বিরোধ বেধে গিয়েছিল মুস্তাকিমের। অভিযোগ, সেই নিয়ে বচসার সময়েই নিয়োগকর্তাকে কুপিয়ে খুন করেছিলেন তিনি। কুয়েতের আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে নিহতের পরিবার। ২০২১ সালে সে দেশের আদালত মুস্তাকিমকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং মৃত্যুদণ্ড দেয়। গত ২৮ এপ্রিল মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। কুয়েতের ভারতীয় দূতাবাস থেকেই তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনার কথা জানানো হয়।