প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ভালবাসা দিবসে প্রেমিকার সঙ্গে গোয়ায় সময় কাটাবেন বলে ঠিক করেছিলেন বেঙ্গালুরুর এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র। কিন্তু গোয়া ‘যাত্রা’র মতো টাকা ছিল না তাঁর পকেটে। টাকা জোগাড় করতেই নিজের মামিকে খুন করে তাঁর গয়না হাতানোর অভিযোগ উঠল ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রায় তিন সপ্তাহ পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
পুলিশ সূ্ত্রে খবর, অভিযুক্ত ছাত্রের নাম যশবন্ত। ২৩ বছর বয়সি ওই ছাত্র বেঙ্গালুরুর বিজয়ওয়াড়ার এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বিটেক করছিলেন। গত ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি তাঁর মামার বাড়ি যান। বেঙ্গালুরুর প্রযুক্তি হাব ইলেকট্রনিক শহরে থাকতে যশবন্তের মামা নরসিংহ রেড্ডি। সে দিন যশবন্ত যখন মামার বাড়িতে যান, তখন নরসিংহ ছিলেন না। বাড়িতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী সুকন্যা রেড্ডি (৩৬)।
মামির সঙ্গে যশবন্তের সম্পর্ক ভালই ছিল। প্রায়ই মামার বাড়ি ঘুরতে যেতেন তিনি। দু-এক দিন থেকেও আসতেন। ১১ ফেব্রুয়ারি গিয়ে মামির কাছে টাকা চান যশবন্ত। দাবি করেন, গাড়ি খারাপ হয়ে গিয়েছে তাই কিছু টাকা চাই। কিন্তু সুকন্যা সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় ‘রাগ’ হয় যশবন্তের। তবে মুখে কিছু বলেনি।
কী ভাবে মামির থেকে টাকা আদায় করা যাবে, সেটাই ভাবতে থাকেন যশবন্ত। পুলিশ সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, মামিকে খুন করেই টাকা জোগাড় করার পরিকল্পনা করেন তিনি। সুকন্যাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন তাঁর ভাগ্নে। তার পর দেহ ব্যাগে ভরে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে পেট্রল ধরিয়ে পুড়িয়ে দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সুকন্যাকে খুন করে তাঁর গয়না চুরি করেন যশবন্ত। তার পর প্রেমিকাকে নিয়ে ‘ভ্যালেন্টাইনস্ ডে’ উদ্যাপন করতে গোয়া চলে যান। মৃতার স্বামী বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তদন্তে উঠে আসে যশবন্তের নাম। তার পর তাঁর ফোন ট্র্যাক করে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর থেকে একটি সোনার চেন উদ্ধার করা হয়েছে। নরসিংহের দাবি, ওই চেন তাঁর স্ত্রীরই। পুলিশি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছেন যশবন্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy