দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তিনি। সেই বল্লভভাই পটেলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পুনরাবির্ভাব হল এক্স রে-স্ক্যানারের মধ্যে দিয়ে। মূর্তি হিসেবে!
এ যাবৎ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘরে পটেলের মূর্তি ছিল না। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, যা দেখে তৎক্ষণাৎ হুকুম যায় মূর্তি তৈরির। চার ফুটের ওই মূর্তিটি গত কাল এক্স রে স্ক্যানারে খুঁটিয়ে দেখে মন্ত্রকের ভিতরে ঢোকানোর অনুমতি মেলে। কোথায় বসতে চলেছে ওই মূর্তি? মুখে কুলুপ স্বরাষ্ট্র কর্তাদের। তবে সূত্র বলছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘরেই সম্ভবত স্থান পেতে চলেছে ওই মূর্তি।
রাজধানীতে ইতিমধ্যেই আলোচনা, এবারে কি অমিত শাহ ‘দ্বিতীয় বল্লভভাই পটেল’ হয়ে উঠতে চলেছেন! যে ভাবে কাশ্মীর প্রশ্নে বিশেষ করে জঙ্গি দমনে কড়া অবস্থান নেওয়ার ইঙ্গিত দিতে শুরু করেছে মন্ত্রক, তাতে জল্পনা তীব্র হয়েছে।
প্রথম সরকারের আমলেই সর্দার সরোবর জলাধারের কাছে বল্লভভাইয়ের সুবিশাল মূর্তি বানিয়ে তাক লাগিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ। যা বিশ্বের অন্যতম সুউচ্চ মূর্তিও বটে। শুরু থেকেই জওহরলাল নেহরুর চেয়ে বল্লভভাই পটেলকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কৌশল নিয়ে এগিয়েছেন মোদী-শাহেরা।
বিজেপির ব্যাখ্যা, দেশ স্বাধীন হওয়ার সময়ে পটেলের উপর দায়িত্ব ছিল দেশীয় ও করদ রাজ্যগুলির ভারতের সঙ্গে সংযুক্তি ঘটানোর। যাতে একশো শতাংশ সাফল্য পান তিনি। অন্য দিকে, শুধুমাত্র জম্মু ও কাশ্মীরের বিষয়টি দেখার দায়িত্বে ছিলেন নেহরুর। বিজেপির দাবি, সেই কাজে যে নেহরু ‘কতটা ব্যর্থ’, তা দেশ বুঝতে পারছে। পটেলের হাতে জম্মু-কাশ্মীরের দায়িত্ব দেওয়া হলে সে সমস্যা গোড়াতেই মিটে যেত!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy