E-Paper

চড়াই রক্ষায় ময়দানে শিক্ষক-ছাত্রেরা

বিশেষজ্ঞদের মতে, মোবাইল টাওয়ারের ফলে চড়াইয়ের প্রজননে সমস্যা হয়। আবার কংক্রিটের ইমারতে বাসা বাঁধতে পারে না চড়াই। ফলে দ্রুত কমছে তাদের সংখ্যা।

বাপী রায়চৌধুরী

শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৬:২৮
sparrow

—প্রতীকী ছবি।

মোবাইল টাওয়ার ও কংক্রিটের বাড়ির ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে চড়াই পাখি। তাই চড়াই রক্ষায় তৎপর হয়েছেন ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলার চন্দনমুড়ার বাসিন্দা এক শিক্ষক ও এক দল ছাত্র।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মোবাইল টাওয়ারের ফলে চড়াইয়ের প্রজননে সমস্যা হয়। আবার কংক্রিটের ইমারতে বাসা বাঁধতে পারে না চড়াই। ফলে দ্রুত কমছে তাদের সংখ্যা। চন্দনমুড়ার কে কে নগর দ্বাদশ স্কুলের ‘ডিএনএ’ ক্লাবের সদস্য পড়ুয়ারা শিক্ষক প্রসেনজিৎ করের নেতৃত্বে ‘স্প্যারো জ়োরো, সেভ স্প্যারো, সেভ নেচার’ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে। ত্রিপুরা বায়োটেকনোলজি কাউন্সিলের আর্থিক সহায়তায় স্কুলের বাড়িতে বাড়িতে তারা তৈরি করছে কৃত্রিম বাসা। তাতে আশ্রয় নিয়ে বংশবৃদ্ধি করতে পারবে চড়াই। সেই সঙ্গে চলছে বাসিন্দাদের সচেতন করার কাজ।

প্রসেনজিৎ জানান, ইতিমধ্যে চড়াইয়ের ৩০০টি বাসা তৈরি করে বিভিন্ন বাড়িতে বসানো হয়েছে। পরে আরও ৫০০টি বাসা তৈরি করা হবে। এ জন্য ক্লাবের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দশম শ্রেণির সাত জন পড়ুয়া আবার বাকি পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। প্রসেনজিতের আক্ষেপ, ‘‘১২ বছর আগে যখন এই স্কুলে যোগ দিই তখন আশপাশের এলাকায় চড়াই-সহ অনেক প্রজাতির পাখি ছিল। এখন সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে।’’

ত্রিপুরা বায়োটেকনোলজি কাউন্সিলের উপ-অধিকর্তা অঞ্জন সেনগুপ্তের বক্তব্য, ‘‘বাস্তুতন্ত্র রক্ষার জন্য চড়াই পাখির প্রয়োজন। ত্রিপুরায় পঙ্গপালের আক্রমণ দেখা যাচ্ছে। পর্যাপ্ত সংখ্যায় চড়াই থাকলে পঙ্গপালের মোকাবিলা করা যেত।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Sparrows Tripura

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy