প্রতীকী ছবি।
ছাত্রদের যত্নআত্তির দায়িত্বে যাঁর হাতে, তাঁরই যৌন অত্যাচারের শিকার হয়েছিল এক পড়ুয়া। চার বছর আগের ওই ঘটনায় এক তরুণীকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত।
হায়দরাবাদের ঘটনায় অভিযুক্ত ওই তরুণীর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছিল। একটি বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক আদালত মামলাটিতে ওই তরুণীকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। ২০ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকার জরিমানাও করা হয়েছে তাঁকে।
অভিযুক্ত তরুণীর বয়স ২৭। ছেলেদের প্রাইমারি স্কুলে কেয়ারটেকারের চাকরি করতেন তিনি। স্থানীয় ভাষায় এই পদকে বলা হয় ‘আয়াম্মা’। অর্থাৎ আয়া-মা। ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর সেই আয়াম্মার বিরুদ্ধেই যৌন নিগ্রহের অভিযোগ আনেন স্কুলের এক ছাত্রের বাবা। অভিযোগে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর পুত্রকে নিয়েমিত যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয় স্কুলে।
ছাত্রটির বয়স ন’বছর। কী ভাবে হয় তাকে হেনস্থা করা হত তার বিশদ পুলিশকে জানিয়েছিলেন ছাত্রের বাবা। অভিযোগের বয়ান অনুযায়ী, স্কুলের আয়াম্মা ওই ছাত্রকে গোপনে ডেকে আদর করতেন এমনকি ছাত্রটির গোপনাঙ্গ স্পর্শও করতেন। ব্যাথা পেয়ে ছাত্রটি প্রতিবাদ জানালে তাকে মারধরও করতেন ওই তরুণী। অভিযোগে তরুণীকে বিকৃতকাম বলে উল্লেখ করেছিলেন ছাত্রের বাবা। বলেছিলেন, ‘‘ছেলের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে প্রশ্ন করতেই ওই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানায় সে।’’ ছাত্রটিকে ওই তরুণী সিগারেটের ছ্যাঁকাও দিতেন বলে অভিযোগ করেছিলেন ছাত্রের বাবা। চারবছর পর সেই মামলার নিষ্পত্তি হল।
বিশেষ শুনানিতে বৃহস্পতিবার ওই মামলায় তরুণীকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। পকসো আইনে দোষী সাব্যস্ত তরুণীকে ২০ বছরের হাজতবাসের সাজা দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy