সৌরভ ভরদ্বাজ এবং অতিশী। ছবি: সংগৃহীত।
দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত আম আদমি পার্টি (আপ)-র দুই মন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া ও সত্যেন্দ্র জৈন গত কাল ইস্তফা দিয়েছেন। আজ তাঁদের পরিবর্তে দলীয় বিধায়ক অতিশী ও সৌরভ ভরদ্বাজকে মন্ত্রিসভার অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন জানিয়ে উপরাজ্যপালকে চিঠি দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ হওয়ায় আপাতত মন্ত্রিসভার সদস্য কৈলাশ গহলৌতকে মণীশের অর্থ দফতরের ও রাজকুমার আনন্দকে সত্যেন্দ্রর স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মণীশের জায়গায় কাকে কেজরীওয়াল উপমুখ্যমন্ত্রী করেন, সেটাই এখন দেখার।
মণীশের গ্রেফতারিতে যখন দিল্লির বিজেপি নেতৃত্ব উজ্জীবিত, তখন তাঁকে ‘সৎ’ বলে দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথা হিমাচলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শান্তা কুমার। তিনি বলেন, ‘‘সৎ ও কাজের লোক হিসেবে পরিচিতি রয়েছে মণীশের। তিনি আজ জেলে বন্দি। এ নিয়ে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ চলেছে। কিন্তু আমার মনে হয়, তিনি দল এবং দলের নির্বাচনে লড়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এই সব করেছেন।’’ বিজেপি ওই মন্তব্যকে শান্তা কুমারের ‘ব্যক্তিগত মত’ বলে ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করেছে। এ দিকে, দুই নেতার গ্রেফতারির বিরুদ্ধে আজ পথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আপ। কেজরীওয়াল বলেন, ‘‘দিল্লিতে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ভোল পাল্টে দেওয়া আদৌ পছন্দ হয়নি বিজেপির। উপরন্তু গত কয়েক বছরে দেশ জুড়ে আপের শক্তি বেড়েছে। তা রুখতেই ওই গ্রেফতারি। কেন ওঁদের গ্রেফতার করা হল, তা জানাতে দিল্লিবাসীর ঘরে ঘরে যাবেন আপ নেতারা। পথে নামব আমিও।’’
প্রধানমন্ত্রীকেও আক্রমণ শানিয়েছেন কেজরীওয়াল। বলেছেন, ‘‘মোদী সরকারের লক্ষ্যই হল দিল্লির উন্নয়ন স্তব্ধ করে দেওয়া। কিন্তু আমি দিল্লিবাসীকে আশ্বস্ত করছি, উন্নয়নের কাজ থেমে থাকবে না। অতীতে যে ভাবে ইন্দিরা গান্ধী ভুল করেছিলেন, এখন নরেন্দ্র মোদী সেই ভুল করছেন। এর কারণ হল অহঙ্কার।’’ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মণীশ বিজেপিতে যোগ দিলে এই মুহূর্তে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তুলে নেওয়া হবে সব অভিযোগ।’’
গত কালই আপ নেতৃত্ব জানিয়েছিলেন, আপাতত ইস্তফা দেওয়া দুই মন্ত্রীর দফতরের দায়িত্ব কৈলাশ গহলৌত ও রাজকুমার আনন্দের হাতে তুলে দেওয়া হবে। আজ সেই মতোই পদক্ষেপ করা হয়েছে। অতিশী ও সৌরভ ভরদ্বাজকে মন্ত্রিসভার অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়ে উপরাজ্যপাল বিনয় সাক্সেনাকে আবেদন জানিয়েও কেজরীওয়াল বলেছেন, ‘‘ওই নিয়োগ হতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy