এক জন মায়ের নিষেধ না-মেনে বিক্ষোভে যোগ দিতে গিয়েছিল। অন্য জন সমাবেশ থেকে ফেরার সময় মাকে সাবধান করেছিল। দুই ছেলেই আর ঘরে ফিরল না। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নিহত ১৭ বছরের দুই কিশোরকে ‘শহিদ’ ঘোষণা করল আসু।
গুয়াহাটির হাতিগাঁওয়ের বাসিন্দা নবম শ্রেণির ছাত্র স্যাম স্ট্যাফোর্ড বৃহস্পতিবার লতাশিলের মাঠের সমাবেশে যোগ দিতে গিয়েছিল বন্ধুদের সঙ্গে। তার মা জানান, হেঁটে ফেরার সময়ে বাড়ির কাছেই রাজধানী মসজিদের সামনে গন্ডগোল দেখে ছেলে তাঁকে ফোন করে বলে, ‘‘বাইরে বেরিয়ো না। খুব ঝামেলা হচ্ছে। প্রায় পৌঁছে গিয়েছি। আমার জন্য পোলাও আর মাংস করে রাখ।’’ তার মিনিট দশেকের মধ্যে ফোন আসে, শঙ্কর পথে ছেলের গলায় গুলি লেগেছে। হাসপাতালের পথে রাস্তাতেই মারা গিয়েছে স্যাম।
গুয়াহাটির সৈনিক ভবনে কাজ করা ছয়গাঁওয়ের দীপাঞ্জল দাস বৃহস্পতিবার সকালেই মাকে ফোন করে বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার কথা জানায়। মা কবিতা দাস জানান, ছেলেকে গন্ডগোলের মধ্যে যেতে নিষেধ করেছিলেন তিনি। কিন্তু অনড় দীপাঞ্জলের যুক্তি ছিল, প্রতিবাদে শামিল হওয়া তার নৈতিক দায়িত্ব। লতাশিলের সমাবেশ থেকে ফেরার সময়ে আচমকা একটি গুলি তার তলপেটে এসে লাগে।