সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ের বার্তা এ বার দক্ষিণ এশিয় দেশগুলির মিলিত মঞ্চ ‘আসিয়ান’-এ পৌঁছে দিল সংসদীয় প্রতিনিধিদল। বুধবার ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় পৌঁছেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বহুদলীয় সংসদীয় দলের অন্য প্রতিনিধিরা। বৈঠক করেছেন ‘আসিয়ান’-এর মহাসচিব কাও কিম হউর্নের সঙ্গে। বৈঠক শেষে অভিষেক জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে সর্বাঙ্গীণ কৌশলগত অংশীদারিত্ব (স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ) এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াইয়ের আশ্বাস দিয়েছেন কাও। সমাজমাধ্যমে অভিষেক লিখেছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লৌহমুষ্টির নীতি কথা পৌঁছে দিতে জাকার্তায় গিয়েছেন তাঁরা।
এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়ার উপবিদেশমন্ত্রী আরিফ হাভাস ওগ্রোসেনোর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন অভিষেকরা। আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার পথকে আরও প্রশস্ত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তাঁদের। পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়ার ‘ইন্টার পার্লামেন্টারি কোঅপারেশন’ সহসভাপতি মুহাম্মদ হুসেন ফাদলুল্লোহ এবং ইন্দোনেশিয়া-ভারত ‘পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ’-এর চেয়ারপার্সন মুহাম্মদ রফিকির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন অভিষেক এবং অন্য সাংসদের। সমাজমাধ্যমে অভিষেক জানিয়েছেন, পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে ভারতের দৃঢ় অবস্থানের কথা সাংসদেরা তুলে ধরেছেন তাঁদের কাছে।
আরও পড়ুন:
অভিষেকদের এই প্রতিনিধিদলে রয়েছেন জেডি-ইউ সাংসদ সঞ্জয়কুমার ঝা, বিজেপির অপরাজিতা সারঙ্গি, ব্রিজ লালা, প্রধান বড়ুয়া, হেমঙ্গ যোশি এবং সিপিএমের জন ব্রিট্টাস। এ ছাড়া সলমন খুরশিদ এবং মোহন কুমারও রয়েছেন এই প্রতিনিধিদলে। বস্তুত, ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং তার পরবর্তী ভারত-পাক সংঘর্ষের পরে ভারতের অবস্থান বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দিতে শাসক-বিরোধী সাংসদদের নিয়ে তৈরি সাতটি প্রতিনিধিদল বিভিন্ন দেশে ঘুরছে। এর আগে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়েছিলেন অভিষেকরা।