জরুরি বিভাগের চেয়ারে বসেই অঘোর ঘুমে অচেতন কর্তব্যরত চিকিৎসক। রোগীদের কী অবস্থা, সে দিকে তাঁর হুঁশ নেই। টেবিলের উপর পা তুলে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছেন তিনি! অন্য দিকে, চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যু হল রোগীর। সোমবার উত্তর প্রদেশের মেরঠে ঘটনাটি ঘটেছে। খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত সুনীল নামে এক ব্যক্তিকে মেরঠের লালা লাজপত রায় মেমোরিয়াল (এলএলআরএম) মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পুলিশই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু অভিযোগ, সে সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ঘুমিয়ে ছিলেন। ফলে রক্তাক্ত অবস্থায় বিনা চিকিৎসায় ও ভাবেই পড়ে থাকতে হয় সুনীলকে। পর দিন তাঁর মৃত্যু হয়।
অভিযোগ, সে সময় জরুরি বিভাগে ছিলেন জুনিয়র ডাক্তার ভূপেশ কুমার রাই এবং অনিকেত। তাঁরা বিভাগেই একটি চেয়ারে ঘুমিয়ে ছিলেন। ফলে দীর্ঘ ক্ষণ রক্তাক্ত অবস্থায় স্ট্রেচারেই পড়ে থাকেন সুনীল। চিৎকার করে ডেকেও চিকিৎসকদের ঘুম ভাঙানো যায়নি। ইতিমধ্যে ওই সময়ের একটি ভিডিয়োও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। তাতে দেখা যাচ্ছে, এক ডাক্তার টেবিলের উপর পা তুলে ঘুমোচ্ছেন। এক মহিলা ও একটি শিশু তাঁকে জাগানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু ডাক্তারের ঘুম ভাঙছে না।
ভিডিয়ো ‘ভাইরাল’ হতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ঘটনার সময় হাসপাতালের ওই বিভাগের চিকিৎসক শশাঙ্ক জিন্দল উপস্থিত ছিলেন না। খবর পেয়েই তিনি হাসপাতালে ছুটে যান। রোগীকে বাঁচানোর সব রকম চেষ্টাও করেন। কিন্তু তত ক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ মারা যান সুনীল। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসকের গাফিলতিতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় মেরঠের জেলাশাসককে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত দুই চিকিৎসককে বরখাস্তও করা হয়েছে।