যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত ‘বাবা’ স্বামী চৈতন্যানন্দ সরস্বতীর বেশ কয়েকটি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস পেল দিল্লি পুলিশ। শুধু তা-ই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হওয়ার পরেও ওই অ্যাকাউন্ট থেকে ‘বাবা’ ৫৫ লক্ষ টাকা তুলেছেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ চৈতন্যানন্দ। তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট সার্কুলারও জারি করা হয়েছে। বাবার খোঁজে যখন হন্যে হয়ে বেশ কয়েকটি রাজ্যে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ, তখন প্রকাশ্যে এল আড়ালে থেকেই ‘বাবা’ তাঁর দু’টি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলেছেন।
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছেন, দু’টি ভিন্ন নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন ‘বাবা’। আর ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে সম্প্রতি টাকা লেনদেনও হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। শুক্রবার আইনজীবী মারফত দিল্লির পটীয়ালা আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন ‘বাবা’। কিন্তু আদালত এই মামলার রায় স্থগিত রেখেছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে যে সব টাকা আসত, অভিযোগ, সেই সব টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করতেন। শুধু তা-ই নয়, সেই টাকা নিজের স্বার্থে কাজে লাগাতেন।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, ‘বাবা’র বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন তাঁরই ম্যানেজমেন্ট কলেজের ছাত্রীরা। সেই কলেজেরই এক ছাত্রীর দাবি, ‘‘প্রথমে ছাত্রীদের বেছে নিতেন। তার পর সেই সব ছাত্রীদের ফোন নিজের কাছে রাখতেন ‘বাবা’। বলা হত, পড়াশোনায় যাতে ছাত্রীরা মনোযোগ দিতে পারে, তার জন্য এই ব্যবস্থা।’’ ওই ছাত্রী আরও দাবি করেছেন, ‘বাবা’ যে সব ছাত্রীদের বাছাই করতেন, তাঁদের নিজের পছন্দমতো ফোন কিনে দিতেন। আর সেই ফোনের পুরো নিয়ন্ত্রণ থাকত তাঁর হাতেই।
আরও এক ছাত্রীর দাবি, ‘‘ছাত্রীদের প্রতি নিয়ত ধমকানো হত। কেরিয়ার নষ্ট করে দেওয়ার ভয় দেখানো হত। শিক্ষাগত যোগ্যতার সমস্ত আসল শংসাপত্র নিজের কাছে জমা রাখতেন ‘বাবা’। কেউ যদি কোনও ভাবে ‘বাবা’র প্রস্তাবে অরাজি হত, তা হলে তাঁর উপর নেমে আসত শাস্তির খাঁড়া। এমনকি বহিষ্কারও করা হত। ফলে ভয়ে কেউই মুখ খুলত না।’’