বিহারের ব্যবসায়ী তথা বিজেপি নেতা গোপাল খেমকা খুনে নয়া তথ্য উঠে এল। পুলিশ সূত্রে খবর, খেমকাকে খুনের জন্য অভিযুক্ত উমেশ যাদবকে ভাড়াটে খুনির খোঁজ করতে বলেছিলেন আর এক ব্যবসায়ী তথা এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত অশোক শাহ। একটি জমিবিবাদকে কেন্দ্র করে গোপাল খেমকাকে খুনের সুপারি দেন অশোক।
বিহার পুলিশের ডিজি বিনয় কুমার জানিয়েছেন, উমেশ ছোটখাটো কাজ করে দিতেন অশোকের। সেই সূত্রে তাঁদের মধ্যে ভাল পরিচয় ছিল। আর সেই পরিচয়ের সূত্রেই উমেশকে এক জন ভাড়াটে খুনির খোঁজ করতে বলেছিলেন অশোক। তাঁকে বলেছিলেন, এই খুনের জন্য চার লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। খেমকাকে খুনের পরিকল্পনা দেড় মাস আগেই করে ফেলেছিলেন অশোক। উমেশকে সে ভাবেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, উমেশকে জেরা করে জানা গিয়েছে, অশোক তাঁকে বলেছিলেন, এমন ভাবে কাজটা করতে হবে যাতে তাঁর নাম কোনও ভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে না যায়।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে খবর, অশোকের নির্দেশমতো শার্প শুটারের খোঁজ করা শুরু করেন উমেশ। পটনারই এক জন শুটার রাজার খোঁজ পান তিনি। তাঁর সঙ্গে দেখা করেন উমেশ। তাঁকে জানান, চার লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। কিন্তু শুটার আরও বেশি টাকা দাবি করেন। শুটার রাজি না হওয়ায় উমেশ নিজেই খুনের সুপারি নেন। কথাটি অশোককে জানান উমেশ। খুনের আগে ৫০ হাজার টাকা উমেশকে দিয়েছিলেন অশোক। বাকি সাড়ে তিন লক্ষ টাকা খুনের পর দেওয়ার কথা ছিল। সেই টাকা পেয়েও গিয়েছিলেন উমেশ। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে উমেশকে চিহ্নিত করে পুলিশ। তার পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে পুরো টাকা পাওয়া যায়নি বলে দাবি পুলিশের। ৪৫ হাজার টাকা কম ছিল। সেই টাকা কোথায় গেল? উমেশকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, মেয়ের স্কুলের ফি বাকি পড়ে গিয়েছিল। খুনের সুপারির কিছু টাকা দিয়ে সেই ফি মিটিয়েছেন বলে দাবি উমেশের। তবে উমেশের দাবির সত্যতা যাচাই করতে স্কুলেও যাবেন তদন্তকারীরা, এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। শুধু তা-ই নয়, স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে। উমেশ আদৌ স্কুলে গিয়েছিলেন কি না, যদি গিয়েও থাকেন, তাঁর সঙ্গে আর কেউ ছিলেন কি না, সব তদন্ত করে দেখা হবে।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে নিজের বাড়ির সামনে খুন হন ব্যবসায়ী তথা বিজেপি নেতা গোপাল খেমকা।