কেরলের মেডিক্যাল কলেজ থেকে র্যাগিংয়ের অভিযোগে বহিষ্কার করা হল পাঁচ সিনিয়রকে। অভিযোগ, মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের উপর অকথ্য অত্যাচার করতেন তাঁরা। র্যাগিংয়ের নামে জুনিয়রদের নগ্ন করে মারধর করা হত। বৃহস্পতিবারই অভিযুক্ত ওই পাঁচ সিনিয়র ছাত্রকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এ বার কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করলেন।
অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রের নাম রাহুল রাজ, এনএস জিবা, এনপি বিবেক, রিজিল জিত এবং স্যামুয়েল জনসন। তাঁরা প্রত্যেকেই কেরলের কোট্টয়মের সরকারি নার্সিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। অভিযোগ, প্রথম বর্ষের ছাত্রেরা কলেজে ঢোকার পরেই র্যাগিং শুরু করেন অভিয়ুক্তরা। সম্প্রতি সেই র্যাগিং পর্বের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে, যা দেখে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। কেরল সরকার এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যের পুলিশের কাছ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল, এক ছাত্রকে খাটে বেঁধে শুইয়ে রাখা হয়েছে। তিনি সম্পূর্ণ উলঙ্গ। তাঁর যৌনাঙ্গে ভারী জিনিস বেঁধে দেওয়া হয়েছে। পাশে দাঁড়িয়ে পাঁচ সিনিয়র ছাত্র হাসাহাসি করছেন। এমনকি, ওই জুনিয়র ছাত্রের শরীরে মাঝে মাঝে কম্পাস দিয়ে খোঁচাও দেওয়া হচ্ছে। এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ভিডিয়োর ভিত্তিতে পুলিশ পদক্ষেপ করে। প্রথম বর্ষের এক ছাত্র র্যাগিং নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ভিডিয়োতে যাঁদের দেখা গিয়েছিল, সেই পাঁচ জনকে বুধবার আটক করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
কেরলের ওই মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ছাত্রদের অভিযোগ, গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে এই র্যাগিং শুরু হয়েছে। ওই সময়েই কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্রদের ক্লাস শুরু হয়। তিন মাস ধরে জুনিয়রদের উপর অকথ্য অত্যাচার করেন সিনিয়র ছাত্রেরা। র্যাগিংয়ের ভিডিয়ো তুলে তাঁরা নিজের ফোনে রেখে দিতেন বলেও দাবি জুনিয়রদের।