Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
judge

Judge Murder: বিচারককে খুনের আগে ফোনও চুরি করে অভিযুক্তেরা

জুলাইয়ের ২৮ তারিখ সকালে হাঁটতে বেড়িয়ে অটোর ধাক্কায় খুন হন ধানবাদের জেলা জজ উত্তম আনন্দ।

ঘটনার তদন্তে সিবিআই

ঘটনার তদন্তে সিবিআই ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২১ ০৭:৪১
Share: Save:

ধানবাদের বিচারক উত্তম আনন্দ খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে এ বারে সিবিআইয়ের হাতে এল মোবাইল ফোন চুরির তথ্য! সিবিআই সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, খুনের আগের দিন রেলের এক ঠিকাদারের তিনটি ফোন চুরি করেছিল দুই প্রধান অভিযুক্ত। সেই ফোনেই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রেখেছিল তারা।

জুলাইয়ের ২৮ তারিখ সকালে হাঁটতে বেড়িয়ে অটোর ধাক্কায় খুন হন ধানবাদের জেলা জজ উত্তম আনন্দ। প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনাটিকে অটোর ধাক্কায় মৃত্যু বলে মনে করা হলেও পরে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে বোঝা যায়, ফাঁকা রাস্তায় ইচ্ছে করেই বিচারককে ধাক্কা দিয়ে খুন করা হয়েছে।

পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, ওই বিচারকের এজলাসে একাধিক মাফিয়ার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগের বিচারপর্ব চলছিল। এক বিধায়কের ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর খুনের ঘটনার বিচারও চলছিল তাঁর এজলাসে। মৃত্যুর কিছু দিন আগে দু’জন গ্যাংস্টারের জামিনের আর্জি খারিজ করে দেন তিনি। তদন্তে নেমে পুলিশ অটোচালক লাখন বর্মা ও তার সহকারী রাহুল বর্মাকে গ্রেফতার করে। তাদের জেরা করে এবং তদন্ত চালিয়ে দেখা যায়, যে অটোটি দিয়ে বিচারককে ধাক্কা মারা হয়েছিল, সেটি খুনের আগেই চুরি করেছিল দুই অভিযুক্ত। অটোটি এক মহিলার নামে নথিভুক্ত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।

বিচারক খুনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট দু’দিনের মধ্যে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। পুলিশের তদন্তে অসন্তোষ জানিয়ে গত ৪ অগস্ট মামলাটি তদন্তের জন্য সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, খুনের আগের দিন পূর্ণেন্দু বিশ্বকর্মা নামে রেলের এক ঠিকাদারের তিনটি ফোন চুরি করে দুই অভিযুক্ত। বিষয়টি ওই ঠিকাদার স্থানীয় থানায় জানালেও তারা বিষয়টি নিয়ে বেশি দূর এগোয়নি বলে জানা গিয়েছে। তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে কনস্টেবল বিজয় যাদবকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। গোটা ঘটনার পিছনে মাফিয়া যোগের সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠিকাদারের ফোন চুরি করার আগেই দুই অভিযুক্ত খুনে ব্যবহৃত অটোটি চুরি করে। তার পরে দু’জনে মিলে ধানবাদ থানার কাছে বসে নেশা করে। তার পর ওই অবস্থাতেই ফোন তিনটি চুরি করে। সেই ফোনে নিজেদের সিমকার্ড ব্যবহার করে তারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রেখেছিল।

ইতিমধ্যেই দুই অভিযুক্তকে দিল্লি নিয়ে গিয়েছে সিবিআই। সেখানে তাদের বয়ান খতিয়ে দেখার পাশাপাশি দু’জনেরই ব্রেন ম্যাপিং এবং নার্কো-অ্যানালিসিস করা হবে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

judge Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE