রাহুল নবীন। —ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র পরবর্তী অধিকর্তা (ডিরেক্টর) হচ্ছেন রাহুল নবীন। বুধবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে ইডির শীর্ষ পদে ১৯৯৩ ব্যাচের আইআরএস অফিসার নবীনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি গত সেপ্টেম্বর থেকে ইডির ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা পদে ছিলেন। পরবর্তী দু’বছর নবীন স্থায়ী অধিকর্তা পদে থাকবেন।
২০২৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ইডি-র অধিকর্তা পদে সঞ্জয়কুমার মিশ্রের মেয়াদ শেষ হয়েছিল। সে দিনই অর্থ মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থায়ী অধিকর্তা নিয়োগ না-হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব সামলাবেন ১৯৯৩ ব্যাচের আইআরএস নবীন। ইডি-র বিশেষ অধিকর্তা পদ থেকে ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা পদে উন্নীত করা হয়েছিল তাঁকে। তার আগে নবীন ইডি-র সদর দফতরে প্রধান ভিজিল্যান্স অফিসার ছিলেন। ঘটনাচক্রে, নবীনের ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা হওয়ার আগেই তিন দফায় সঞ্জয়ের কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল সুপ্রিম কোর্ট।
২০২০ সালের নভেম্বর মাসে ইডির ডিরেক্টর পদে নিয়োগ করা হয়েছিল ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত সঞ্জয়কে। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ছিল দু’বছরের। পরে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ দফায় দফায় মোট তিন বার বাড়ানো হয়। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, ইডির ডিরেক্টর পদে সঞ্জয়ের কাজের মেয়াদ নতুন করে আর বাড়ানো যাবে না। কিন্তু ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন আইন এবং দিল্লি স্পেশাল পুলিশ আইনে পরিবর্তন আনে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সংশোধিত বিধিতে বলা হয় সরকার চাইলে সিবিআই এবং ইডি প্রধানের কার্যকালের মেয়াদ তিন বছরের জন্য বাড়িয়ে দিতে পারে। সংশোধিত বিধির বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে মহুয়া মৈত্র-সহ একাধিক নেতা-নেত্রী মামলা করেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy