প্রতীকী চিত্র।
কাশ্মীরের দৃষ্টান্ত দিয়ে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের হাওয়া তুলতে আসরে নামলেন যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর দাবি, কাশ্মীরে হিন্দু রাজা সরে যাওয়ার পর থেকেই সেখানে হিন্দু ও শিখদের দুর্দশা শুরু হয়েছে। যা থেকে মানুষের শিক্ষা নেওয়া উচিত।
প্রতিবারের মতোই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে উত্তরপ্রদেশ। বিজেপির লক্ষ্যই হল ওই রাজ্য থেকে যত বেশি সম্ভব আসন জিতে আসা। বিজেপির কাছে অন্যতম হাতিয়ার ছিল রামমন্দির। কিন্তু সেটা গত কাল কার্যত ভেস্তে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিরোধীদের মতে, বিকল্প পথে হেঁটে তাই কাশ্মীর ক্ষত উস্কে দিলেন আদিত্যনাথ।
কাল লখনউয়ে শিখ সম্প্রদায়ের একটি অনুষ্ঠানে কাশ্মীরের হিন্দু ও শিখদের পলায়নের বিষয়টি তুলে ধরে আদিত্যনাথের প্রশ্ন, ‘‘কাশ্মীরে যা পরিস্থিতি তাতে কি হিন্দু-শিখেরা শান্তিতে রয়েছেন? মোটেই না। যত দিন সেখানে শাসনকর্তা হিসেবে হিন্দু রাজা ছিলেন, তত দিন সমস্যা হয়নি। রাজতন্ত্র শেষ হতেই পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে।’’
আরও পড়ুন: অমিত প্রার্থী বাংলা থেকে, ওড়িশায় মোদী? সভাপতির জন্য ভাবনায় ৩ আসন, জোর জল্পনা
এ কথা বলেই যোগীর পরামর্শ, দেশের মানুষের উচিত ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া। এমন কোনও ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয় যাতে দেশ জুড়ে কাশ্মীর, আফগানিস্তান বা পাকিস্তানের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। আদিত্যনাথের কথায়, ‘‘এক সময়ে কাশ্মীরের মতোই পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে হিন্দু ও শিখেরা বাস করতেন। কাবুল সমাজে যথেষ্ট প্রভাবশালী ছিল স্থানীয় শিখ সমাজ। কিন্তু আজ সব মিলিয়ে একশোটি পরিবারও সেখানে নেই। যারা রয়েছেন, তাঁরা অসহনীয় পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন।’’
বিরোধীরা কংগ্রেস শিবিরের বক্তব্য, বিজেপি মুখে উন্নয়নের কথা বলেও, ভোটের আগে তাদের ভরসা মেরুকরণের রাজনীতিই। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে যোগী আসলে কার্যত মোদীর সমালোচনাই করে বসেছেন বলে মনে করছেন তাঁরা। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘গত চার বছর কাশ্মীর যে অশান্ত, তা মোদী সরকারের ভুল নীতির কারণে। সেই সত্যটা আদিত্যনাথ স্পষ্ট করে দিয়েছেন। বোঝা যাচ্ছে দলের মধ্যেই মোদীর কাশ্মীর নীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy