যে-দাবিতেই রেল অবরোধ করা হোক না কেন, ভুগতে হয় আমজনতাকেই। তাই পুজোর সময় যাতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না-হয়, তার জন্য আবেদন জানালেন রেল-কর্তৃপক্ষ।
গত এক বছরে রেলের বিভিন্ন শাখায় রেল রোকোর ১২৪টি ঘটনা ঘটেছে। তদন্তে দেখা গিয়েছে, এই সব ঘটনার পিছনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে সাধারণ মানুষ অনেকেই থাকেন। অথচ রেল রোকোয় যাত্রীরাই বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হন। পুজোয় এমনিতেই সব ট্রেনে ভিড় উপচে পড়ে। তখন অবরোধের মতো আন্দোলন হলে যাত্রিসাধারণের দুর্দশা বহু গুণ বেড়ে যায়। কেটে যায় উৎসবের আমেজ। সেই জন্যই ওই সময় অবরোধের পথ এড়ানোর জন্য সাধারণ মানুষেরই দ্বারস্থ হয়েছে রেল।
রেল অবরোধের ফলে সাধারণ যাত্রীদের কী ভাবে বিপাকে পড়তে হয়, মঙ্গলবার তার একটি পরিসংখ্যান দিয়েছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার আর কে গুপ্ত। তিনি বলেন, “এক-একটি ট্রেনে প্রায় এক হাজার যাত্রী থাকেন। আর একটি ট্রেন আটকানো হলে তার পিছনে অনেক ট্রেন আটকে পড়ে। ফলে কয়েক হাজার মানুষ আটকে পড়েন। তাই রেল অবরোধ করাটাই ঠিক নয়।” ইদানীং অবরোধের বিরুদ্ধে অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকেই এগিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে। ট্রেন থেকে নেমে অবরোধ হটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে আশার আলো দেখছে রেল।
রেল রোকোর রাস্তায় না-যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উৎসবের দিনগুলোয় কানে হেডফোন দিয়ে পথ চলা থেকেও বিরত থাকার জন্য যুবক-যুবতীদের অনুরোধ করেছে রেল। তাদের বক্তব্য, পুজোর সময় চতুর্দিকে মাইক বাজে। শব্দের মাত্রা অনেক বেশি থাকে। তাই ট্রেনের আওয়াজ ঠিকমতো শোনা যায় না। এই অবস্থায় কানে হেডফোন থাকলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ে।
রেলের তরফে এ দিন জানানো হয়, উৎসবের সময় ট্রেন চলাচল এবং নিরাপত্তার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্ল্যাটফর্মগুলিতে অতিরিক্ত পুলিশকর্মী, ভোর পর্যন্ত ট্রেনে পুলিশি প্রহরা তো থাকবেই। সংরক্ষিত টিকিট ফেরতের জন্য খোলা হচ্ছে বিশেষ কাউন্টার। পুজো উপলক্ষে পূর্ব রেল এ বার ২২২টি অতিরিক্ত ট্রেন চালাবে। তার মধ্যে লোকাল ট্রেন রয়েছে ৮৪টি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy