আর জি কর কাণ্ডের জেরে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের। কিন্তু তা ক্রমশ প্রশমিত। দীর্ঘদিন পরে আজ রাজ্যসভায় প্রশ্ন জমা দেন তিনি। জলসম্পদ মন্ত্রীকে এই প্রশ্ন করেন। আর জি কর কাণ্ডের পরে প্রথম।
সেখানে রাজ্য সরকারের সদর্থক ভূমিকার কথাই তুলে ধরেছেন সুখেন্দুশেখর। তাঁর কথায়, ২০১৮ সালের এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি আর্সেনিক প্রভাবিত জনপদ ও জনসংখ্যা ছিল পশ্চিমবঙ্গে, যথাক্রমে ৮০০০ ও ১ কোটিরও বেশি। এর পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে একাধিক ব্যবস্থা নেয়। তাঁর প্রশ্ন, কলকাতায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন তৈরি করার পরে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কী কার্যকর পদক্ষেপ করেছে? তাঁর বক্তব্য, বিশেষত প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গঙ্গার জলবণ্টনের ফলে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ভূগর্ভের জলস্তর কমে যাওয়ায় পানীয় জলে আর্সেনিক আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গিয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)