এত দিন অভিযোগ করছিল সিপিএম। এ বার ত্রিপুরায় বিজেপি জমানার বিরুদ্ধে সরব হল তৃণমূলও। সিপিএমের সুরেই তাদেরও অভিযোগ, উত্তর-পূর্বের ওই ছোট রাজ্যে ক্ষমতায় আসার তিন মাসের মধ্যে ‘ফ্যাসিবাদী শাসন’ কায়েম করেছে বিজেপি।
তৃণমূলের ক্ষোভের কারণ দু’দিন আগে তাদের রাজ্য নেতাদের উপরে হামলার ঘটনা। তৃণমূলের তরফে ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তথা বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তের অভিযোগ, বন্যাদুর্গত মানুষের মধ্যে ত্রিপল বিলি করতে গাড়ি ভাড়া করে গিয়েছিলেন তাঁদের দলের রাজ্য নেতারা। উদয়পুর থেকে ফেরার পথে তাঁদের গাড়ি আটকে হামলা চালান বিজেপির সমর্থকেরা। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি অশিস সিংহের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। মহিলা ও সংখ্যালঘু শাখার রাজ্য সভাপতিদেরও মারধর করা হয়। সব্যসাচীবাবু বলেন, ‘‘হামলাকারীরা শুধু নিগ্রহই করেনি, তীব্র উস্কানিমূলক কথাবার্তাও বলেছে। পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের ডিজিপি আমাদের রাজ্য সভাপতিকে নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।’’
ঘটনার কথা জেনে ক্ষুব্ধ এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় নেতাদের তৃণমূল নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন এমন ঘটনার প্রতিবাদে কর্মসূচি নেওয়ার জন্য। ত্রিপুরার তৃণমূল নেতারা অবশ্য জানাচ্ছেন, বৃষ্টির জন্যই তাঁদের বড় কর্মসূচি নিতে অসুবিধা হচ্ছে। তৃণমূলের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলা চালিয়ে এবং গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে বিজেপি ত্রিপুরায় ‘ফ্যাসিবাদী রাজ’ চালাচ্ছে। যে কথা ক্ষমতা পরিবর্তনের পর থেকে টানা বলে আসছেন সিপিএমের মানিক সরকার, বিজন ধরেরা। বাংলায় তৃণমূলের পাশাপাশি ত্রিপুরায় বিজেপির অগণতান্ত্রিক কাজকর্মের প্রতিবাদে সিপিএম এই মাসেই দিল্লিতে কর্মসূচি নিয়েছে।
বিজেপি অবশ্য সব্যসাচীবাবুদের অভিযোগ মানতে নারাজ। ঘটনার সঙ্গে বিজেপির যোগও তারা অস্বীকার করেছে। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমাদের দলের সর্বস্তরে নির্দেশ দেওয়া আছে, সন্ত্রাস চালানো বা সন্ত্রাসে প্রশ্রয় চলবে না। সকলের পাশে থেকে সকলের উন্নয়নের লক্ষ্যেই বিজেপি কাজ করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy