Advertisement
E-Paper

অশান্ত মায়ানমার, ভারতে শরণার্থীরা

মায়ানমারের খ্রিস্টান শরণার্থীদের চাপ বাড়ছে ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্য, মিজোরাম, নাগাল্যান্ডে। দলে দলে পালিয়ে আসছেন মায়ানমারের সংখ্যালঘু মহিলা ও শিশুরা। তাঁদের বক্তব্য, আরাকান আর্মি অত্যাচার চালাচ্ছে খ্রিস্টানদের উপরে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৭ ০৩:৪৪
অবাধ: ভারতে ঢুকছেন মায়ানমারের শরণার্থী। মিজোরামে। —নিজস্ব চিত্র।

অবাধ: ভারতে ঢুকছেন মায়ানমারের শরণার্থী। মিজোরামে। —নিজস্ব চিত্র।

মায়ানমারের খ্রিস্টান শরণার্থীদের চাপ বাড়ছে ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্য, মিজোরাম, নাগাল্যান্ডে। দলে দলে পালিয়ে আসছেন মায়ানমারের সংখ্যালঘু মহিলা ও শিশুরা। তাঁদের বক্তব্য, আরাকান আর্মি অত্যাচার চালাচ্ছে খ্রিস্টানদের উপরে। পুরুষদের বেঁধে রেখে কাজে লাগানো হচ্ছে। তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে মহিলা, শিশু, অশক্তদের। গত কয়েক দিন ধরে মিজোরাম প্রশাসন তাঁদের আশ্রয় ও খাদ্যের ব্যবস্থা করে। গত কাল থেকে ধাপে ধাপে শরণার্থীদের মায়ানমারে ফেরত পাঠানো শুরু হয়েছে।

আসাম রাইফেল্স সূত্রে খবর, দক্ষিণ মিজোরামের সাইহা জেলায় খাইখি ও লুংপুক গ্রামে ১৯ মে শরণার্থীদের প্রথম দলটি ঢুকে আসেন। পরের ধাপে আসেন আরও শ’দুয়েক। সিংহভাগই মহিলা ও শিশু। তাঁরা মূলত চিন ও রাখাইন প্রদেশের বাসিন্দা। ওপার থেকে আসা উপজাতিদের সঙ্গে দক্ষিণ মিজোরামের মারা উপজাতিদের ভাষা ও সংস্কৃতগত মিল রয়েছে। আশ্রয়প্রার্থীরা জানান, সীমান্তের ওপারের গ্রামগুলিতে আরাকান আর্মি অত্যাচার শুরু করেছে। একই ভাবে মায়ানমার-নাগাল্যান্ড সীমান্তের ওপারে সাগাইং প্রদেশে মায়ানমার সেনা ও খনি মাফিয়াদের মধ্যে যুদ্ধের জেরে পালিয়ে নাগাল্যান্ডে ঢুকছেন ওপারের মানুষ। ইন্দো-মায়ানমার চুক্তি অনুযায়ী সীমান্তের দু’পারের মানুষ অন্য দেশের ভিতরে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত আসতে পারেন।

আসাম রাইফেলসের দক্ষিণ মিজোরামের ভারপ্রাপ্ত ডিআইজি যোশেফ লালছুয়ানা জানান, শরণার্থী ঢোকার খবর পেয়ে, আসাম রাইফেলসের দু’টি দল খাইখি ও লুংপুক গ্রামে পৌঁছয়। দেখা যায়, সীমান্তের ওপারে অশান্তির জেরে শ’চারেক শরণার্থী এ পারে আশ্রয় নিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন তাঁদের আশ্রয় দিয়েছে ও খাবারের বন্দোবস্তও করেছে। আসাম রাইফেলস তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে।

শরণার্থীদের নিরাপদে ফেরত পাঠানোর জন্য দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কম্যান্ডারদের আলোচনার প্রেক্ষিতে গত কাল শরণার্থীদের অভয় দেয় ওপারের প্রশাসন। এরপরই তাঁদের ফেরত পাঠানো শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত সাড়ে তিনশো শরণার্থী ফেরত গিয়েছেন। মিজোরামের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লালজিরলিয়ানা বলেন, “শরণার্থীদের ফেরত পাঠাতে পারাটাই বড় সাফল্য।’’

Refugee Myanmar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy