পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার ১৫ দিনের মাথায় পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। মধ্যরাতে পাকিস্তানের ন’টি জায়গায় হামলা চালিয়ে একাধিক জঙ্গিশিবির গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে সেনা। তার পরেই বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পরেই গেলেন রাইসিনা হিলে রাষ্ট্রপতি ভবনে। বৃহস্পতিবার ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে সর্বদল বৈঠকও ডেকেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সকাল ১১টায় হবে ওই বৈঠক।
ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর তারিফ করে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সূত্রের খবর, মোদী ওই বৈঠকে বলেছেন, যে যে লক্ষ্যে প্রত্যাঘাত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল, তার সবটাই সফল ভাবে করতে পেরেছে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী। কোনও ক্ষেত্রেই তারা ব্যর্থ হয়নি।
আরও পড়ুন:
-
সেদিনও ছিল মঙ্গলবার! ৬ বছর আগের বালাকোট থেকে এই বারের ‘অপারেশন সিঁদুর’, মিল মোদীর ‘নিস্পৃহ’ ২৪ ঘণ্টাতেও
-
‘সমর্থন করছি, কিন্তু সন্তুষ্ট নই’, পহেলগাঁওয়ে নিহত বেহালার সমীরের স্ত্রী বললেন, পাকিস্তান জঙ্গিশূন্য হলেই বিচার মিলবে
-
ভারতের প্রত্যাঘাত নিয়ে দিল্লির সাংবাদিক বৈঠকে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি! ৩৫ বছরের অফিসার নজির ভেঙেছেন এর আগেও
‘অপারেশন সিঁদুর’ চলাকালীন রাত জেগে তত্ত্বাবধান করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামটিও তাঁরই দেওয়া বলে জানা গিয়েছে। যে হেতু পহেলগাঁওয়ে স্ত্রীদের সামনে স্বামীদের হত্যা করা হয়েছিল, সেই প্রেক্ষাপট থেকেই এই নামকরণ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকশেষে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছোন রাইসিনা হিলে রাষ্ট্রপতি ভবনে। সেখানে তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর বিষয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে সবিস্তার জানান।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে সর্বদল বৈঠক ডেকেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও সেই বৈঠকে ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি সে দিন গিয়েছিলেন বিহারের মধুবনীতে সভা করতে। তা নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষও করেছিলেন। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে মোদী থাকেন কি না সেটাই দেখার।