ওষুধের দোকানে ঢুকে রামদা দিয়ে কোপ। ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
হাতে রামদা। মুখ ঢাকা কালো কাপড়ে। মহারাষ্ট্রে আবার কোয়টা গ্যাংয়ের উপদ্রব শুরু। পুণের পর এ বার মহারাষ্ট্রেরই পিমপ্রি-চিনচওয়াড়। হামলার সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার পিমপ্রি-চিনচওয়াড়ের অশোক থিয়েটারের কাছে একটি ওষুধের দোকানে হানা দেন ছয় ব্যক্তি। তাঁদের সকলেরই মুখ ছিল কালো কাপড়ে ঢাকা। হাতে রামদা। দোকানে লাগানো সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে গোটা ঘটনা। সেই ফুটেজই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, ছয় ব্যক্তি হাতে রামদা নিয়ে ওষুধের দোকানে ঢুকছেন। তার পর দোকানের এক কর্মীকে সোজা কোপাতে থাকেন। সেই কর্মী নিজেকে বাঁচাতে ছুটোছুটি শুরু করেন। তাঁকে তাড়া করেন দুষ্কৃতীরা। দু’জন মিলে ওই কর্মীর শরীরে রামদায়ের কোপ বসাতে থাকেন। অন্যরা দোকানে ভাঙচুর চালান। দোকানের অন্য এক কর্মী বাঁচাতে এলে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। দোকানের কর্মীকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওয়াইসিএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
Medical pic.twitter.com/qt1zH9N36W
— Sanat Singh (@sanat_design) April 30, 2023
পুলিশ সূত্রে খবর, দোকানে ঢোকার আগে কামগার নগর এলাকায় কয়েকটি গাড়ি এবং বাইকেও ভাঙচুর চালানো হয়।
এই প্রথম নয়, কিছু দিন আগে পুণেতেও একই ভাবে হামলার ঘটনা ঘটে। মহারাষ্ট্রের স্থানীয় পরিভাষায় রামদাকে কোয়টা নামে ডাকা হয়। গ্যাংয়ের সদস্যরা ওই অস্ত্র ব্যবহার করেন। সেই থেকেই দুষ্কৃতীদল ‘কোয়টা গ্যাং’ নামে কুখ্যাতি পায়।
এ দিকে কোয়টা গ্যাংকে বাগে আনতে গত জানুয়ারিতেই নির্দেশ দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ। তিনি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, যাতে এমন কোনও ঘটনা ভবিষ্যতে না ঘটে। কিন্তু সেই নির্দেশের পরও যে কাজের কাজ কিছুই হয়নি তা বুঝিয়ে দিল পিমপ্রি-চিনচওয়াড়ের ঘটনা। পুলিশ এখনও এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy