Advertisement
১১ মে ২০২৪
National news

অপহরণের মামলায় রেহাই রামপালের, চলবে খুনের মামলা

২০১৪-তে অভিযুক্ত রামপালকে গ্রেফতার করতে গিয়ে রীতিমতো নাজেহাল হতে হয়েছিল হরিয়ানা পুলিশকে। পুলিশকে ঠেকাতে আশ্রমের বাইকে গোটা এক দিন ধরে মানববন্ধন গড়ে তুলেছিলেন রামপালের অগণিত ভক্ত। শেষমেশ বাধ্য হয়েই ভক্তদের সরাতে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। ভক্তরাও থেমে থাকেননি।

রামপালের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা, খুন-সহ একাধিক মামলা ঝুলছে। ছবি: সংগৃহীত।

রামপালের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা, খুন-সহ একাধিক মামলা ঝুলছে। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৭ ১৪:৩৩
Share: Save:

আপাতত স্বস্তি পেলেন রামপাল। অপহরণ-সহ পুলিশকর্মীকে মারধরের মামলায় রেহাই পেলেন তিনি। মঙ্গলবার হরিয়ানার হিসার আদালতে ওই দুই মামলায় অভিযুক্ত রামপালকে নির্দোষ হিসেবে রায় দেয় হিসার আদালত। তবে ওই দু’টি মামলায় রেহাই মিললেও তাঁর বিরুদ্ধে দু’টি খুন এবং দেশদ্রোহিতার মামলা চলবে বলে জানিয়েছে হরিয়ানা পুলিশ। ফলে এখনই জেল থেকে ছাড়া মিলছে না তাঁর।

রাম রহিমের পর ফের আরও এক স্বঘোষিত ধর্মগুরু রামপালের মামলার রায় নিয়ে এ দিল সকাল থেকেই চর্চা ছিল তুঙ্গে। হরিয়ানার সিরসার পর ওই মামলা ঘিরে শিরোনামে চলে আসে হিসার।

ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধান গুরমিত রাম রহিমের মতো না হলেও বেশ বিতর্কিত সত্গুরু রামপালজি মহারাজ। হিসারের কাছেই ১২ একর জুড়ে রয়েছে তাঁর সতলোক আশ্রম। ২০১৪ সালের ১৮ নভেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে একটি খুনের মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় অভিযোগ, রামপালের নির্দেশেই তাঁর ভক্তরা স্থানীয় এক গ্রামের বাসিন্দাদের উপর চড়াও হন। তাতে মারা যান এক জন। আহত হন ছ’জন। সেটা ২০০৬ সাল। এর আট বছর পর ওই মামলা দায়ের হয়।

আরও পড়ুন

৩৭ লক্ষ টাকা পাল্টে দিল সেই দানা মাঁজিকে!

২০১৪-তে অভিযুক্ত রামপালকে গ্রেফতার করতে গিয়ে রীতিমতো নাজেহাল হতে হয়েছিল হরিয়ানা পুলিশকে। পুলিশকে ঠেকাতে আশ্রমের বাইকে গোটা এক দিন ধরে মানববন্ধন গড়ে তুলেছিলেন রামপালের অগণিত ভক্ত। শেষমেশ বাধ্য হয়েই ভক্তদের সরাতে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। ভক্তরাও থেমে থাকেননি। পাথর-লাঠি-বন্দুক নিয়ে পুলিশের উপর চড়াও হন তাঁরা। সেই সংঘর্ষ থামলে রামপালের আশ্রমে ঢোকে পুলিশ। আশ্রমের ভিতর থেকে চার জন মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের দাবি, ওই মৃতদেহগুলিতে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। এমনকী, আশ্রম থেকে উদ্ধারকাজের সময়ও মারা যাননি তাঁরা। আশ্রমের ভিতরে ঢুকে প্রায় এক হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি ছিল, তাঁদের জোর করে সেখানে আটকে রাখা হয়েছিল। এর পর তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা, পুলিশকর্মীকে কর্তব্যে বাধা দেওয়া-সহ অপহরণের মামলা রুজু করা হয়।

আরও পড়ুন

রাম রহিমের সাজা ঘোষণার সময় কী বললেন বিচারক?

২০০৬ সালের সেই খুনের মামলার রায় বের হল এ দিন। ওই মামলা ছাড়াও রামপালের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা, খুন-সহ নিজের আশ্রমে জোর করে অনেককে আটকে রাখার মতো অভিযোগ রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE