কোর্টের নির্দেশ পেয়ে শুক্রবার আত্মসমর্পণ করলেন সাহাবুদ্দিন। ছবি: পিটিআই।
ফের জেলে গেলেন মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। সুপ্রিম কোর্টে জামিন খারিজ হতেই সিওয়ানের সিজেএম আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন আরজেডির বাহুবলী নেতা। জেলে যাওয়ার আগে ফের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে আক্রমণ করেছেন তিনি।
২০০৪ সালে সিওয়ানে তিন ভাইকে খুন করার এক মামলায় জামিন পেয়েছিলেন সাহাবুদ্দিন। পটনা হাইকোর্টের ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন ওই তিন যুবকের বাবা চন্দ্রকেশ্বর প্রসাদ। পরে বিহার সরকারও আবেদন জানায়। জোটশরিক আরজেডি-র এই বাহুবলী নেতার জামিন নিয়ে নীতীশ-লালুপ্রসাদের মন কষাকষিও হয়েছে বলে রাজনৈতিক সূত্রে খবর।
আজ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ জানার পরেই সাহাবুদ্দিনকে হেফাজতে নিতে সিওয়ানে তাঁর বাড়িতে যান জেলাশাসক। গোলমালের আশঙ্কায় তাঁর সঙ্গে ছিল বিশাল বাহিনী। কিন্তু তখন সাহাবুদ্দিন বাড়িতে ছিলেন না। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে তিনি পরে সিওয়ানের সিজেএম আদালতে পৌঁছে যান।
আত্মসমর্পণের সময়ে দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ ছিলেন সাহাবুদ্দিন। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ চেপে রাখেননি তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমার সমর্থকরা এর জবাব দেবেন। আগামী নির্বাচনেই নীতীশ কুমার এর জবাব পেয়ে যাবেন।’’ তবে এ দিন লালুপ্রসাদকে নিয়ে মন্তব্য করেননি তিনি। আরজেডি নেতৃত্বও সরকারি ভাবে সাহাবুদ্দিনের জামিন খারিজ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
১০ সেপ্টেম্বর জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে নীতীশ কুমারকে ‘পাকেচক্রে মুখ্যমন্ত্রী’ বলে উল্লেখ করেছিলেন সাহাবুদ্দিন। এ দিন তিনি ফের বলেন, ‘‘আমি এখনও বলছি নীতীশ কুমার পাকেচক্রে মুখ্যমন্ত্রী।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘কারও কথায় বা নির্দেশে আমি জেলে যাচ্ছি না। আদালতকে সম্মান করি। তাই আদালতের নির্দেশেই জেলে যাচ্ছি।’’
গত বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে জেলে ছিলেন সাহাবুদ্দিন। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, তখন জেল থেকেই কলকাঠি নেড়েছিলেন তিনি। তাঁর মেশিনারির উপরে নির্ভর করেই উত্তর বিহারের বিস্তীর্ণ এলাকায় জিতেছে লালু-নীতীশের মহাজোট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy