ছবি পিটিআই।
চার বছর পর ভবিষ্যৎ কী? মোদী সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্প ঘিরে এই প্রশ্নই তুলেছেন সেনায় চাকরির আশায় থাকা দেশের তরুণরা। চুক্তিভিত্তিক সেনা নিয়োগের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের ঝাঁঝে তোলপাড় গোটা দেশ। এই প্রেক্ষাপটে ‘অগ্নিবীর’-দের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিশেষ উদ্যোগ নিল শিক্ষা মন্ত্রক।
অগ্নিপথ প্রকল্পে যাঁরা নাম নথিভুক্ত করবেন, তাঁরা বিশেষ স্নাতক ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা বা শংসাপত্র পাবেন। সশস্ত্র বাহিনীতে তাঁরা কেমন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তার ভিত্তিতে দক্ষতার ৫০ শতাংশ নম্বর দেওয়া হবে। বাকি ৫০ শতাংশ নম্বর পাঠক্রমের ভিত্তিতে দেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রক। অগ্নিবীরদের দক্ষতার স্বীকৃতি দিতে যৌথ ভাবে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও ইন্দিরা গাঁধী জাতীয় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। দ্য ন্যাশনাল ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়েও অগ্নিবীররা বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পাবেন।
প্রসঙ্গত, সেনায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার অগ্নিপথ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ওই প্রকল্পে সাড়ে ১৭ থেকে ২৩ বছরের তরুণ-তরুণীরা চার বছরের জন্য চুক্তির ভিত্তিতে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখায় (স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা) যোগ দিতে পারবেন। তাঁদের বলা হবে ‘অগ্নিবীর’। মাসে ৩০-৪৫ হাজার টাকা করে পাবেন তাঁরা। সেনায় শূন্যপদ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চতুর্থ বছরের শেষে সেই ব্যাচের সর্বাধিক ২৫ শতাংশ অগ্নিবীরকে সেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বাকিদের ১১-১২ লক্ষ টাকা হাতে দিয়ে পাঠানো হবে অবসরে। থাকবে না কোনও পেনশন।
এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন সেনায় চাকরিপ্রার্থীরা। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, তেলঙ্গানা-সহ একাধিক রাজ্যে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী ও অসম রাইফেলসে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু অগ্নি-বিধি শিথিলের পরও বিক্ষোভের আঁচ কমেনি। গত দু’দিনের মতো শনিবারও বিহার-সহ বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিবাদ প্রদর্শিত হয়েছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy