অগ্নিপথ প্রকল্প প্রত্যাহারের দাবি কংগ্রেস নেতা কানহাইয়ার। ফাইল চিত্র।
অগ্নিবীররা চার বছর পর অবসরে গেলে তাঁকে বিয়ে করবে কে? অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে দেশব্যাপী চলা বিক্ষোভ প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন কংগ্রেস নেতা কানহাইয়া কুমার। কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্পের সমালোচনায় মুখর বিরোধীরা। শনিবার এ নিয়ে কংগ্রেসের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন কানহাইয়া। সেখানে তাঁর মন্তব্য, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নিজেকে ‘ডক্টর ডং’ (জিয়াং-ডিয়াং-ওয়াং) মনে করেন। আর আমরা জনগণ যেন খাঁচাবন্দি ইঁদুর! উনি যখন চান, ইঞ্জেকশন দেন। দেখেন, এ বার কতটা লাফ দেয়। তার পর পরীক্ষা করা হয়।’’
অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রথম আন্দোলন শুরু হয় বিহারে। ক্রমশ সেই বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। বেগুসরাইয়ের বাসিন্দা কানহাইয়ার কথায়, ‘‘আমি বিহার থেকে এসেছি। এমন একটি পরিবার থেকে এসেছি, যেখানে ১৫-১৬ জন সেনাবাহিনীতে রয়েছেন। যুদ্ধের সময় আমার এক ভাই এবং এক আত্মীয় দেশের জন্য বলিদান দিয়েছেন।’’ এর পর তাঁর সংযোজন, দেশে যখন সেনাবাহিনীতে নিয়মিত নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে, তখন সেই প্রক্রিয়া বন্ধ করে এই নতুন প্রকল্প আনার কারণ কী! কানহাইয়ার কটাক্ষ, অগ্নিপথ নিয়ে মন্ত্রীদের বয়ান যেন ‘সেলসম্যান’-এর মতো। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপির নেতামন্ত্রীরা যেন স্টেশনের বাইরে ইঁদুর মারার ওষুধ বিক্রি করছেন! কেউ বলছেন এই বয়সে এত লক্ষ টাকা পাবেন, কেউ বলছেন এই সুবিধা পাবেন। তাই মন্ত্রীদের আগে বলতে হবে, এই প্রকল্পের প্রয়োজন কী?’’
অগ্নিপথ নিয়ে বিহারে আন্দোলন প্রসঙ্গে কানহাইয়ার ব্যাখ্যা, তাঁর রাজ্যে বেকারত্বের হার জাতীয় বেকারত্বের হারের দ্বিগুণ। সেখানে কাজের জন্য ভিন্রাজ্যে চলে যান যুবকরা। এর জন্য শুধু বর্তমান সরকার দায়ী নয়।
হিংসাত্মক আন্দোলন নিয়ে কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘‘লকডাউনের সময় এই সব যুবক এবং তাঁদের বাবা-মা হাজার হাজার কিলোমিটার হেঁটে যাওয়ার সময় হিংসা করেননি। সে একই যুবক, যখন তাঁর পরিবারের কেউ করোনার জন্য অক্সিজেন পাচ্ছে না, তখনও হিংসার আশ্রয় নেননি। এখন তাঁরা কেন সেই পথ নিচ্ছেন?’’ মোদী সরকারের সমালোচনা করে কানহাইয়ার দাবি, ‘‘অগ্নিপথ প্রকল্প এদেশের যুব সমাজকে আগুনে নিক্ষেপ করার পরিকল্পনা। সরকারের উচিত, এই প্রকল্প প্রত্যাহার করা।’’ পাশাপাশি, বিহারের তরুণদের কাছে তাঁর আবেদন, হিংসার পথে নয়, অহিংসার পথে হোক আন্দোলন। তিনি বলেন, ‘‘আপনার-আমার করের টাকায় জাতীয় সম্পত্তিকে এ ভাবে নষ্ট করবেন না। গাঁধীর পথে আন্দোলন করুন।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy