বিক্ষোভের আগুনে পুড়ছে ট্রেন-বাস। ছবি: পিটিআই।
অগ্নিপথ-এর আগুনে জ্বলছে দেশের ১৩টি রাজ্য। সবচেয়ে ভয়ানক পরিস্থিতি বিহার এবং উত্তরপ্রদেশের। শুধু বিহারেই বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডবে রেলের ক্ষতি হয়েছে ২০০ কোটি টাকার সম্পত্তি।
কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্প ঘোষণার পর থেকেই উত্তাল বিহার। বক্সার, নওয়াদা, ছপরা, বেগুসরাই, আরা, মুঙ্গের, জেহানাবাদের মতো এলাকায় ছড়িয়েছে বিক্ষোভ। রেলের পাশাপাশি অবরোধ করা হয় জাতীয় সড়ক। টায়ার জ্বালানো, পাথর ছোড়া, গাড়ি ও ট্রেন ভাঙচুরের মতো ঘটনাও ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ছপরায় একটি ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা।
দানাপুর রেল ডিভিশনের ডিআরএম প্রভাত কুমার সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন, ট্রেনের ৫০টি কামরা এবং পাঁচটি ইঞ্জিন পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। স্টেশন চত্বর এবং অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এই হিংসাত্মক ঘটনায় সব মিলিয়ে শুধু বিহারেই রেলের ক্ষতি হয়েছে ২০০ কোটি টাকার সম্পত্তি।
Bihar | Vandalism incidents in railway premises have led to losses of over Rs.200 crore, 50 coaches & 5 engines completely burnt & went out of service. Platforms, computers & various technical parts damaged. Some trains were cancelled:Prabhat Kumar, DRM, Danapur Rail Division pic.twitter.com/38cC4gzc4s
— ANI (@ANI) June 18, 2022
শনিবার সকালেও বিহারের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখানো হয়। রেল, সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলিতে। দানাপুরের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ সুপার (এএসপি) অভিনব ধীমান জানিয়েছেন, প্রচুর সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করেছেন বিক্ষোভকারীরা। যাঁরা এই ভাঙচুর এবং আগুন লাগানোর ঘটনায় জড়িত ছিলেন, তাঁদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৮০ জন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।
অন্য দিকে, পটনা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে তারেগ্না রেলস্টেশনে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকটি মোটরবাইকও জ্বালিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। জেহানাবাদ থেকে ১২ জন বিক্ষোভকারীকে শনিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মুঙ্গেরের তারাপুর সুলতানগঞ্জে বিক্ষোভকারীরা বিডিওর গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ।