Advertisement
E-Paper

পৃথক সেলের দাবি অগুস্তা মামলায় অভিযুক্ত মিশেলের

মনমোহন সিংহ নেতৃত্বাধীন ইউপিএ আমলে দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং ভিভিআইপিদের জন্য ১২টি বিলাসহুল চপার কিনতে ২০১০ সালে ব্রিটিশ সংস্থা অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি হয়।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৯:০৭
ক্রিশ্চিয়ান মিশেল।—ফাইল চিত্র।

ক্রিশ্চিয়ান মিশেল।—ফাইল চিত্র।

ধেয়ে আসছে সহবন্দিদের প্রশ্নবাণ। সইতে হচ্ছে হেনস্থাও। তাতে নাকি অতিষ্ঠ ক্রিশ্চিয়ান মিশেল! তাই আদালতের দ্বারস্থ হলেন তিনি। সংশোধনাগারের মধ্যে আলাদা কুঠুরির আর্জি জানালেন। ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকার অগুস্তা-ওয়েস্টল্যান্ড কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত মিশেল। এই মুহূর্তে রাজধানীর তিহাড় সংশোধনাগারে বন্দী ।২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজত হয়েছে তার।শুক্রবার পাটিয়ালা হাউস কোর্টে আবেদনপত্র জমা দেন তার আইনজীবী।

তবে এই প্রথম নয়, এর আগে সিবিআই সদর দফতরের গেস্ট হাউসে থাকাকালীনও নানা বায়নাক্কা করতে দেখা গিয়েছিল মিশেলকে। তাঁর থাকার জন্য শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘর এবং অন্যান্য আরামের ব্যবস্থা করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এমনকি তাঁর পছন্দের ছোলার ডাল, ভাত এবং চাপাটিও জোগানো হয়। তবে এত কিছু সত্ত্বেও তিনি তদন্তে বিন্দুমাত্র সহযোগিতা করেননি বলে পর আদালতে অভিযোগ তোলেন গোয়েন্দারা।

তদন্তকারী এক অফিসার দাবি করেন, কয়েক ঘণ্টা ধরে সমস্ত নথিপত্র পড়ে দেখার পরও অনড় ছিলেন মিশেল। গোয়েন্দাদের প্রশ্নের জবাব দিতে ইচ্ছুক নন বলে সাফ জানিয়ে দেন। এমনকি নিজেকে ডিসলেক্সিক বলেও দাবি করেন। এই রোগে লিখতে-পড়তে সমস্যা হয়। তবে তার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন মিশেল। ১৪ দিনের সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করেছেন বলে দাবি করেন নিজের জামিনের আর্জিতে। তবে গোয়েন্দারা তার জামিনের বিরোধিতা করেছেন। তাঁদের দাবি, ক্রিশ্চিয়ান মিশেল অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি। জামিন পেলেই দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করবেন। প্রভাবিত করতে পারেন তদন্তও।

আরও পড়ুন: নাসিরুদ্দিনকে কালো পতাকা, দেশকে ভালবাসা কি রাষ্ট্রদ্রোহিতা? প্রশ্ন অভিনেতার​

আরও পড়ুন: খুন করে স্বামীর দেহের পাশেই রাত কাটালেন, সকাল হতেই অফিস গেলেন স্ত্রী​

মনমোহন সিংহ নেতৃত্বাধীন ইউপিএ আমলে দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং ভিভিআইপিদের জন্য ১২টি বিলাসহুল চপার কিনতে ২০১০ সালে ব্রিটিশ সংস্থা অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি হয়। ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকার ওই চুক্তিতে বিপুল অঙ্কের ঘুষের লেনদেন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। যা প্রকাশ্যে আসে ২০১৩ সালে। তাতে নাম জড়ায় প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান এস পি ত্যাগীরও। তদন্ত শুরু হলেক্রিশ্চিয়ান মিশেল সহ তিন দালালের নাম উঠে আসে। তা নিয়ে বিতর্কের জেরে ২০১৪ সালে ওই চুক্তি বাতিল করা হয়।

Agusta-Westland Chopper Scam Christian Michel Tihar CBI
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy