কেন্দ্রীয় বাজেটে এ বার বিশেষ নজর দেওয়া হল এনডিএ শাসিত বিহারের দিকে। চলতি বছরেই বাংলার পড়শি রাজ্যে বিধানসভা ভোট হওয়া কথা। সে দিকে নজর রেখেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন শনিবার বাজেট বক্তৃতায় বিহারে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফুড টেকনোলজি’ গড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি জানিয়েছেন, সম্প্রসারিত হবে পটনা বিমানবন্দর। পটনা বিমানবন্দরের উন্নতির জন্য বরাদ্দ ঘোষণাও করেছেন তিনি। মগধভূমের শিল্প ও পরিষেবা পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য চারটি নতুন গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর এবং বিহতায় একটি ব্রাউনফিল্ড বিমানবন্দর নির্মাণের কথাও বাজেট বক্তৃতায় জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সেই সঙ্গে পটনা আইআইটির পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য পরিকাঠামো উন্নয়নে অর্থবরাদ্দের কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
বিহারে মাখনা চাষিদের উন্নয়নের জন্য বিশেষ বোর্ড গড়ার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। যদিও ইতিমধ্যেই পরিবেশবিদদের একাংশ অভিযোগ তুলেছেন, জলাভূমিগুলিতে মাখনা চাষের ফলে জীববৈচিত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা তাঁর অষ্টম বাজেট বক্তৃতার জন্য সংসদে এসেছিলেন একটি মধুবনি আর্ট প্রিন্ট শাড়ি পরে। মধুবনি শিল্পের উৎপত্তি বিহারের মিথিলা অঞ্চলে। ওই শাড়িটি পদ্মশ্রী দুলারি দেবী বিহার সফরের সময় নির্মলাকে উপহার দিয়েছিলেন। চলতি বছরের নভেম্বরে বিহারে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হলেও এনডিএর বিধায়ক সংখ্যার হিসাবে বৃহত্তম দল বিজেপি।
এ বার বিহারের বিধানসভা ভোটে শক্তিবৃদ্ধিই যে মোদীর ‘পাখির চোখ’ নির্মলার বাজেটেই তার স্পষ্ট বলে মনে করছেন বিরোধী নেতৃত্বের একাংশ। গত বছর লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ ছেড়ে এনডিএ-তে শামিল হয়েছিলেন নীতীশ। লোকসভা ভোটে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন একক ভাবে জিততে পারেনি বিজেপি। ফলে শরিকদের উপর নির্ভর করতে হয়েছে তাদের। সেখানে গুরুত্ব বেড়েছে জেডিইউ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর দল টিডিপির। বাজেটে সেই সমীকরণের প্রতিফলনও দেখা গিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। গত জুলাইয়ে লোকসভা পরবর্তী বাজেটে অন্ধ্রের জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্যাকেজ ঘোষিত হয়েছিল। এ বার এল নীতীশের পালা।