আহমেদ পটেল। ফাইল চিত্র।
সামনে লোকসভা ভোট। কিন্তু তারও আগে গুরুত্বপূর্ণ চার রাজ্যে বিধানসভা ভোট। বিজেপির সঙ্গে প্রচারে এঁটে উঠতে কংগ্রেসের সিন্দুকে যথেষ্ট অর্থের প্রয়োজন।
এই পরিস্থিতিতে হাল ধরতে আহমেদ পটেলকে কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ নিযুক্ত করলেন রাহুল গাঁধী। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর রাজনৈতিক সচিব হিসেবে এত দিন কঠিন দায়িত্ব সামলেছেন গুজরাতের এই নেতা। কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে রাহুল জমানায় আহমেদের গুরুত্ব কতখানি থাকবে, তা নিয়ে দলের ভিতরে কৌতূহল ছিল।
আজ ৬৯ বছরের আহমেদ পটেলকে কোষাধ্যক্ষের গুরুদায়িত্ব দিয়ে রাহুল বুঝিয়ে দিলেন, দলের নেতৃত্বে তরুণ মুখ তুলে আনা হলেও করিৎকর্মা প্রবীণ নেতারা বাদ পড়বেন না। ঘটনাচক্রে, এ দিনই ছিল আহমেদ পটেলের জন্মদিন। সকালে নতুন দায়িত্ব ঘোষণার পরে সারা দিনই অভিনন্দনের বন্যায় ভাসলেন আহমেদ। প্রায় দু’দশক পরে ফের কংগ্রেস কোষাগারের দায়িত্ব গেল তাঁর হাতে। এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০০ পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন তিনি।
দলীয় সূত্রের খবর, কঠিন অবস্থায় কোষাগারের হাল ধরে আহমেদের পরিকল্পনা, দরজায় দরজায় ঘুরে পার্টির জন্য অর্থ সংগ্রহ করা হবে। এতে নিচু স্তরের কংগ্রেস কর্মীরাও চাঙ্গা হবেন। কিছু দিন আগেই টুইটারে অর্থ সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিল কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতারা বলছেন, ২০১৪-য় ক্ষমতা হারানোর পর থেকেই কর্পোরেট সংস্থাগুলির চাঁদায় টান পড়েছে। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস-এর হিসেব অনুযায়ী, ২০১৭-য় কংগ্রেস ২২৫ কোটি চাঁদা পেয়েছিল। সেখানে বিজেপির প্রাপ্তি ১,০৩৪ কোটি। এই পরিস্থিতিতে আহমেদ পটেলের মতো নেতাকে দরকার ছিল। এত দিন ওই পদে ছিলেন প্রবীণ মতিলাল ভোরা। তাঁকে দলের প্রশাসনের দায়িত্ব দিয়েছেন রাহুল।
কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে একাধিক বার রাহুল স্পষ্ট করেছেন, তিনি দলে নতুন মুখ আনতে চান ঠিকই, কিন্তু কাজ করে দেখাতে পারলে প্রবীণ নেতাদের কোণঠাসা হয়ে পড়ার ভয় নেই। গত বছর গুজরাত থেকে রাজ্যসভার নির্বাচনে জিতে এসে বিজেপিকে জোর ধাক্কা দিয়েছিলেন পটেল। ওই জয় কংগ্রেসের মনোবল বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল। লন্ডন ও বার্লিনে অনাবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার আগে আজ কর্ণ সিংহকে সরিয়ে আনন্দ শর্মাকে দলের বিদেশ দফতরের দায়িত্ব দিয়েছেন রাহুল। এক মাস আগে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি গঠন হয়েছিল। আজ সেই কমিটিতে স্থায়ী আমন্ত্রিত হিসেবে মীরা কুমারকে আনা হয়েছে।
উত্তর-পূর্বের দায়িত্ব থেকে আজ সরানো হল রাজস্থানের নেতা সি সি জোশীকে। এর আগে তাঁকে ওয়ার্কিং কমিটি থেকে সরিয়েছিলেন রাহুল। উত্তর-পূর্বের আটটির মধ্যে সাতটি রাজ্যেই খারাপ ফলের পরে অসম ছাড়া বাকি রাজ্যগুলির দায়িত্ব দেওয়া হল গোয়ার নেতা লুইঝিনহো ফেলেরিওকে। অসমের দায়িত্ব আগেই দেওয়া হয়েছে হরিশ রাওয়তকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy