রক্তাক্ত লিঙ্গেশ্বর থিলাগান। -পিটিআই
মনোনয়ন জমা দিতে এসে রীতিমতো মারধর খেতে হয়েছে বলে অভিযোগ জানালেন রাজ্যসভার সদস্য শশিকলার স্বামী লিঙ্গেশ্বর থিলাগান। তাঁর সঙ্গে আসা আইনজীবী, সমর্থকরাও এডিএমকে-র ক্যাডারদের রোষের হাত থেকে রেহাই পাননি বলে দাবি। লিঙ্গেশ্বরের মুখ থেকে প্রচুর রক্তপাতের ছবিও দেখা গিয়েছে টিভি পর্দায়। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।
বুধবার চেন্নাইয়ে এডিএমকে-র সদর দফতরে বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। মনোনয়ন দিতে এসেছিলেন শশিকলা পুষ্পার স্বামী। সংসদে দলবিরোধী কথা বলায় গত ১ অগস্ট শশিকলা পুষ্পাকে এডিএমকে থেকে বহিষ্কৃত করেন জয়ললিতা।
সদর দফতরে সকাল থেকেই জয়ললিতা-ঘনিষ্ঠ শশীকলার নামেই স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল। শশিকলা পুষ্পা অবশ্য সাধারণ সম্পাদক পদে অন্য শশিকলাকে বসানো নিয়ে আপত্তি তুলছিলেন প্রথম থেকে। কিন্তু জয়া-ঘনিষ্ঠ শশিকলাকেই চাইছিল দল। এই অবস্থায় শশিকলা পুষ্পার স্বামী বৈঠকে হাজির হলে কিছু হতে পারে আগেই আঁচ করেন দলীয় নেতৃত্ব। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার ছিল। লিঙ্গেশ্বর থিলাগান ঢুকতেই সেখানে উত্তেজনা তৈরি হয়। তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, দলের প্রবীণ নেতারা কেউ নেই। মনোনয়ন নেওয়া যাবে না। তার পরেই এডিএমকে ক্যাডাররা শশিকলার স্বামীর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে বলে অভিযোগ।
পরে এক বিবৃতিতে শশিকলা পুষ্পা জানান, টিভির পর্দায় স্বামীকে নিগ্রহের ছবি দেখেছেন। পরে পুলিশ তাঁর স্বামীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছে, এ দৃশ্যও তিনি দেখেছেন। তার পর থেকে লিঙ্গেশ্বর কোথায়, তিনি কিছুই জানেনা না বলে দাবি শশিকলা পুষ্পার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy