এ বার মহড়ায় ভারতীয় বায়ুসেনা। বুধবার রাজস্থানে পাকিস্তান সীমান্ত বরাবর ‘মিলিটারি ড্রিল’ করবে তারা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবারও চলবে মহড়া। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কী করা যাবে, আর কী করা যাবে না, তা নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের সচেতনতার পাঠ দিতে বুধবার দেশ জুড়ে অসামরিক মহড়াও হতে চলেছে। তার সঙ্গেই এ বার পাকিস্তান সীমান্তের কাছে চলবে বায়ুসেনার ‘মিলিটারি ড্রিল’। পহেলগাঁও কাণ্ডের আবহে পাকিস্তানকে বার্তা দিতেই কি এই মহড়া, ঘনিয়ে উঠছে জল্পনা।
সূত্রের খবর, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাজস্থানে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় মহড়া শুরু করবে বায়ুসেনা। চলবে প্রায় পাঁচ-সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা। ওই সময়ে ওই এলাকার বিমানবন্দরগুলিতে বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখা হবে। প্রশ্ন উঠছে, পহেলগাঁও কাণ্ডের আবহে এ ভাবে কি নিজের শক্তি ঝালিয়ে নিচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনা।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় প্রাণ যায় ২৬ জনের। এ জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে ভারত। তাদের বিরুদ্ধে সিন্ধু জলচুক্তি বাতিলের মতো কড়া পদক্ষেপ করেছে। অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। পাকিস্তানও পাল্টা কিছু পদেক্ষপ করেছে। এর মধ্যে ভারতের সাধারণ নাগরিকদের সচেতনতার পাঠ দিতে দেশ জুড়ে অসামরিক মহড়া হতে চলেছে বুধবার। পাকিস্তানও নাগরিকদের সচেতন করে কিছু পদক্ষেপ করেছে। এই আবহে বুধবার পাকিস্তান সীমান্তে মহড়া দেবে বায়ুসেনা।
এর আগে আরব সাগরে যুদ্ধের মহড়া দিয়েছে ভারতীয় নৌসেনা। ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়। দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে ভারতের যুদ্ধজাহাজগুলি কতটা সক্ষম, তা ঝালিয়ে নেওয়া হয়। অনেকের মতে, এ ভাবেই প্রত্যাঘাতের বার্তা দেয় ভারত। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে নৌসেনার এক কর্তা বলেন, ‘‘যে কোনও পরিস্থিতির জন্য আমরা কতটা প্রস্তুত, তা প্রদর্শনের জন্য ভারতীয় নৌসেনার জাহাজগুলি মহড়ায় যোগ দিয়েছিল। মহড়া সফল হয়েছে। আমরা যে প্রস্তুত, এটা তার প্রমাণ।’’ বায়ুসেনাও গত ২৫ এপ্রিল যুদ্ধবিমান নিয়ে মহড়া দিয়েছিল। এ বার পাকিস্তান সীমান্তে মহড়া দিতে চলেছে বায়ুসেনা।