অহমদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল টাটা গোষ্ঠী। এ বার এয়ার ইন্ডিয়াও জানাল, তাঁরা নিহতদের পরিবারকে ২৫ লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেবে। শুধু নিহতদের পরিবারকেই নয়, একমাত্র জীবিত বিশ্বাসকুমার রমেশও সেই টাকা পাবেন। প্রসঙ্গত, এয়ার ইন্ডিয়া টাটা গোষ্ঠীরই অধীনস্থ সংস্থা।
এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে অতিরিক্ত আর্থিক সাহায্যের কথা জানানো হয়েছে। বিমান দুর্ঘটনায় বিজে মেডিক্যাল কলেজ হস্টেলের যাঁরা জখম হয়েছেন, তাঁদেরও চিকিৎসার খরচ বহন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:
গত বৃহস্পতিবার অহমদাবাদে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। বিমানে ২৩০ জন যাত্রী-সহ মোট ২৪২ জন ছিলেন। দুর্ঘটনায় রমেশ বাদে বাকি সকলেরই মৃত্যু হয়েছে। শুধু আরোহীরাই নন, যে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের উপর ভেঙে পড়েছিল বিমানটি, সেখানকারও কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ২৭০। দুর্ঘটনার দু’দিন পর এমনটাই জানাল অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক।
বিমান দুর্ঘটনার পর পরই তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ শুরু হয় বলেই শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন কেন্দ্রীয় অসমারিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রামমোহন নায়ডু। তিনি জানান, শুক্রবার বিকেল ৫টা নাগাদ বিমানের ব্ল্যাকবক্সটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সেই ব্ল্যাকবক্সের তথ্য যাচাই করা শুরু হয়েছে। কী ঘটেছিল, সেই তথ্য যাচাইয়ের পরই জানা সম্ভব হবে বলে জানান রামমোহন। তাঁর কথায়, ‘‘পাইলট সুমিত সবরওয়ালের শেষ বার্তা ছিল মে ডে। তার পরে আর তাঁর থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।’’ বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো (এএআইবি) ঘটনার পর পরই তদন্ত শুরু করেছে। মন্ত্রীর কথায়, ‘‘এএআইবি বিশ্বাস করে ব্ল্যাকবক্সের তথ্য যাচাই করার পরই বোঝা যাবে দুর্ঘটনার আগে বা পরে ঠিক কী ঘটেছিল। তাদের তদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করে আছি।’’