তিন ঘণ্টা আকাশে চক্কর কেটে মুম্বই বিমানবন্দরে ফিরে এল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। শুক্রবার ভোট ৫টা ৩৯ মিনিটে বিমানটি মুম্বই বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। বিমান চলাচল পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ফ্লাইটরাডার২৪-এর তথ্য বিশ্লেষণ করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বিমানটি মাঝ-আকাশে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চক্কর কাটে। তার পর ফের ফিরে আসে মুম্বইয়ে।
এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ইরানের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সে দেশের আকাশসীমা বন্ধ রয়েছে। ফলে সেই আকাশসীমা অতিক্রম করে ইউরোপের দেশগুলিতে পৌঁছোতে পারছে না বিমানগুলি। এই পরিস্থিতিতে বহু বিমানের যাত্রাপথ বদলানো হচ্ছে। অনেক বিমানকে মাঝপথ থেকেই ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ১৬ বিমানের যাত্রাপথ বদলানো হয়েছে কিংবা বিমানগুলিকে ফের ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
যাত্রীদের অসুবিধার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে বিমান সংস্থাটি। কেউ বিমানের টিকিট বাতিল করলে টাকা ফেরত পাবেন বলে জানানো হয়েছে। যে বিমানগুলির যাত্রাপথ বদলানো হচ্ছে, সেগুলির যাত্রীদের বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আশঙ্কাকে সত্যি করে শুক্রবার সকাল থেকেই ইরানের পরমাণু এবং সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো শুরু করল ইজ়রায়েল। ইরানের রাজধানী তেহরানে তো বটেই, সংলগ্ন এলাকাতেও আকাশপথে হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েলি সেনা। এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছে ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম। ইজ়রায়েলি হানার পরেই সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসাবে দেশের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে ইরান। আপাতত সে দেশে বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে অহমদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কিছু সময় পরেই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী বিমান (এআই ১৭১)। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানে মোট ২৪২ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ২৩২ জন যাত্রী, ১০ জন ক্রু সদস্য এবং দু’জন পাইলট। এক যাত্রী বাদে সকলেরই মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।