১ সেপ্টেম্বর থেকে দিল্লি এবং ওয়াশিংটন ডিসির মধ্যে কোনও এয়ার ইন্ডিয়া বিমান চলবে না! যাত্রীদের হয় ঘুরপথে নয়তো অন্য বিমানসংস্থার উপর ভরসা করতে হবে। সোমবার এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে বিমান চলাচল স্থগিত রাখার বিষয়টি জানানো হয়। কেন দিল্লি এবং ওয়াশিংটন ডিসির মধ্যে পরিষেবা স্থগিত রাখা হচ্ছে, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছে বিমানসংস্থাটি।
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, তাদের বেশ কয়েকটি বিমানের সংস্কারের কাজ চলছে। সেই কারণে বিশেষত, কোনও বোয়িং ৭৮৭-৭ ড্রিমলাইনার বিমান এখন আকাশে উড়বে না। শুধু তা-ই নয়, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আকাশসীমা বন্ধ থাকায় দীর্ঘ যাত্রাপথের বিমান পরিষেবাগুলি ব্যাহত হচ্ছে। সব দিক বিবেচনা করেই আপাতত দিল্লি এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এযার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ।
যে সব যাত্রী ইতিমধ্যেই ১ সেপ্টেম্বরের পর দিল্লি এবং ওয়াশিংটনের এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের টিকিট কেটেছেন, তাঁরা সমস্যায় পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে, সংশ্লিষ্ট সেই সব যাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। বিকল্প পথে দিল্লি থেকে ওয়াশিংটন বা ওয়াশিংটন থেকে দিল্লি আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে যে সব যাত্রী সেই বিকল্পে রাজি নন, তাঁদের টিকিটের টাকা সম্পূর্ণ ফেরত দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। দিল্লি থেকে সরাসরি ওয়াশিংটনের বিমান না-থাকলেও নিউ ইয়র্ক, নেওয়ার্ক, শিকাগো এবং সান ফ্রান্সিসকো হয়ে ওয়াশিংটন পৌঁছোতে পারবেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন:
গত ১২ জুন অহমদাবাদ থেকে লন্ডনের অদূরে গ্যাটউইকের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল বোয়িং সংস্থার এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান এআই ১৭১। রানওয়ে ছাড়ার ৩২ সেকেন্ডের মধ্যে সেটি সামনের বহুতলে ধাক্কা খেয়ে ভেঙে পড়ে। বিমানের ২৪২ জনের মধ্যে ২৪১ জন-সহ মোট ২৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়। উল্লেখ্য, অহমদাবাদে যে বিমানটি ভেঙে পড়েছিল, সেটি বোয়িংয়ের ৭৮৭ মডেলের ছিল। দুর্ঘটনার পর পরই এয়ার ইন্ডিয়া এবং এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের সব বিমানে পরীক্ষা শুরু করেছিলেন কর্তৃপক্ষ।