—ফাইল চিত্র।
তৃণমূল বিধায়কের সমর্থন নিয়ে মণিপুরে সরকার গড়ার পথে বিজেপি। ৬০ আসনের মণিপুরে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৩১টি। কিন্তু বিজেপি পেয়েছে ২১টি আসন। এনপিপি ও এনপিএফের মোট ৮ বিধায়ক, এলজেপির ১ বিধায়ক এবং তৃণমূলের ১ বিধায়কও সমর্থনের চিঠি বিজেপির হাতে তুলে দিয়েছেন বলে খবর। এ ছাড়া কংগ্রেস ছেড়ে ১ বিধায়ক ইতিমধ্যেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। সব মিলিয়ে ৩২ জন বিধায়কের সমর্থনের চিঠি রাজ্যপাল নাজমা হেপতুল্লার হাতে তুলে দিয়েছে বিজেপি। কিন্তু তৃণমূল মণিপুরে বিজেপিকে সমর্থন করছে না বলে দলের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব কলকাতায় জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রতিরক্ষামন্ত্রী থেকে ফের মুখ্যমন্ত্রী, গোয়ায় পর্রীকর
২৮টি আসনে জিতে কংগ্রেসই একক বৃহত্তম দল মণিপুরে। কংগ্রেসকেই আগে সরকার গড়তে ডাকা উচিত রাজ্যপালের, দাবি দলের সর্বভারতীয় নেতৃত্বের। কিন্তু কংগ্রেস সরকার গড়ার দাবি পেশ করার আগেই বিজেপি তড়ঘড়ি ৩২ জন বিধায়কের কাছ থেকে সমর্থনের চিঠি আদায় করে নিয়েছে এবং তা রাজ্যপালের কাছে জমা দিয়েছে। তাই বিজেপি-কেই আগে সরকার গড়তে ডেকেছেন রাজ্যপাল। যে ৩২ জন বিধায়কের সমর্থন তাদের সঙ্গে রয়েছে বলে বিজেপির দাবি, সেই ৩২ বিধায়কের অন্যতম হলেন মণিপুরে তৃণমূলের একমাত্র বিধায়ক টি রবীন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতি তো বটেই, জাতীয় রাজনীতির বিভিন্ন ইস্যুতেও বিজেপির ১৮০ ডিগ্রি বিপরীত অবস্থানে থাকা তৃণমূলের বিধায়ক কী ভাবে মণিপুরে সরকার গঠনের জন্য বিজেপিকে সমর্থন করলেন, রাজনৈতিক মহলে তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে।
ইম্ফলে উল্লাস বিজেপি সমর্থকদের। ছবি: পিটিআই।
তৃণমূলের নেতৃত্ব কিন্তু এই খবর অস্বীকার করছেন। দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় বলেছেন, ‘‘এই খবর ঠিক নয়। তৃণমূল মণিপুরে বিজেপিকে সমর্থন করছে না। আমরা বলেছি কংগ্রেস যদি সরকার গড়তে পারে, তা হলে কংগ্রেসকেই আমরা সমর্থন করব।’’ কিন্তু সরকার গড়ার যে দাবিপত্র মণিপুরের রাজ ভবনে পেশ করেছে বিজেপি, তাতে উল্লিখিত বিধায়কদের তালিকায় তৃণমূল বিধায়কের নামও রয়েছে। দলের সর্বভারতীয় নেতৃত্বের অনুমতি না নিয়েই টি রবীন্দ্র বিজেপি-কে সমর্থন করে দিয়েছেন বলে রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের দাবি। তা-ই যদি হয়, সে ক্ষেত্রে রবীন্দ্রকে আটকানো তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষে কঠিন। কারণ মণিপুরে তিনি তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত একমাত্র বিধায়ক। তিনি দল বদলে ফেললেও দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁকে আটকানোর কোনও রাস্তা তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy